কুষ্টিয়ায় ভারতফেরত শিশুসহ দুজনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর দিয়ে গতকাল শনিবার ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি ৩৬ জনকে কুষ্টিয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে শিশুসহ দুজনের শরীরে আজ রোববার করোনা শনাক্ত হয়েছে। কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম রাত সাড়ে আটটায় প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য আজ সকালে ৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেগুলো কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। রাত আটটার দিকে পাঠানো পরীক্ষার ফলাফলের প্রতিবেদনে দুজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।

সিভিল সার্জন আরও বলেন, দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ৩৯ বছর। আরেকজনের বয়স ১২ বছর। ১২ বছরের ছেলেকে তার মায়ের সঙ্গে শহরের প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) রাখা হয়েছিল। আক্রান্ত আরেক যুবক শহরের একটি আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। সাড়ে আটটার দিকে দুজনকেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের শরীরে তেমন কোনো উপসর্গ নেই।

পিটিআইয়ের বীর প্রতীক তারামন বিবি হলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ২৭ জন ও শহরের একটি আবাসিক হোটেলে ৯ জনকে রাখা হয়।

গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ভারত থেকে দর্শনা বন্দর দিয়ে আসা ৩৬ জন বাংলাদেশিকে বাসে কুষ্টিয়া পিটিআইয়ে আনা হয়। পিটিআইয়ের বীর প্রতীক তারামন বিবি হলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ২৭ জন ও শহরের একটি আবাসিক হোটেলে ৯ জনকে রাখা হয়।

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আজ দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা আরও ৮২ জনকে কুষ্টিয়ায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে ২ দিনে কুষ্টিয়ার ৩টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ১১৮ জনকে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন