কুষ্টিয়ায় ইনু একা, বাকিরা কাছে পেলেন আ. লীগকে
>
- হাসানুল হক ইনু প্রচার শেষ করেছেন
- কালও ইনুর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় কেউ ছিলেন না
- বেশির ভাগ সময় ইনুর সঙ্গে স্ত্রী আফরোজা হক ও জাসদের নেতা-কর্মীরা ছিলেন
পাঁচটি পথসভা ও জনসভা দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু প্রচার শেষ করেছেন। বুধবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাসদের সঙ্গে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কালও ইনুর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় কেউ ছিলেন না।
তবে প্রথম আলোর স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, ফেনী, বগুড়া ও চট্টগ্রামে জাসদের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ফেনী-১ থেকে জাসদের প্রার্থী শিরীন আখতার গতকাল মহাজোটের সমাবেশে অংশ নেন। ফেনীর ছাগলনাইয়ায় জমাদ্দার বাজার চত্বরে আয়োজিত ওই সমাবেশে শিরীন আখতার বলেন, পরাজয় নিশ্চিত সে কথা বিএনপি জেনে গেছে। বিএনপির যেকোনো বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ওই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ফেনী-২ আসনের সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুদ্দিন মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়া-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হাসানুল হক ইনু গতকাল তাঁর নির্বাচনী এলাকা মিরপুর উপজেলার বিজয়নগর গ্রামে পথসভা করেন। পরে কামিরহাট হয়ে আবুরীতে জনসভা করেন। অন্যান্য দিনের মতো বেশির ভাগ সময় তাঁর সঙ্গে স্ত্রী আফরোজা হক ও জাসদের নেতা-কর্মীরা ছিলেন। শরিক দল আওয়ামী লীগের বড় কোনো নেতাকে কালও সঙ্গে পাননি তিনি।
জনসভায় হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমি ফেরেশতা নই, আমি মানুষ। মানুষমাত্রই ভুল-ত্রুটি আছে, ভালো–মন্দ আছে। কিন্তু আমি শয়তান না। আমরা মহাজোট, আমরা মানুষ। ওরা (ঐক্যফ্রন্ট) শয়তান।’
ইনু ভোট চেয়ে বলেন, ‘আমি পুরান বাবুর্চি, ১০ বছর রান্নাবান্না করে খাওয়াইছি। নতুন বাবুর্চির দরকার নাই, পুরান বাবুর্চির হাতে, ইনুর হাতেই ভাত খান।’
বগুড়ায় নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালান মহাজোটের প্রার্থী জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি প্রচার শেষ করেছেন। তবে ভোটাররা বলছেন, নৌকার পথের কাঁটা এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। তিনি লড়ছেন সিংহ প্রতীকে। ভোটারদের দাবি, ওপরে জাসদ প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নিলেও ভেতরে-ভেতরে ক্ষুব্ধ মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের একটি অংশ। এসব ভোট হিরো আলমের সিংহ প্রতীকে পড়তে পারে।
চট্টগ্রামে মহাজোটের প্রার্থী মইন উদ্দীন খান বাদল বোয়ালখালী উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় যান। তিনি গাড়িতে দাঁড়িয়ে হ্যান্ডমাইকে করে নৌকা প্রতীকে ভোট চান। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।