কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান ১৪ দিনের রিমান্ডে
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে তারেকুজ্জামান রাজীবকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ভাটারা থানা-পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান শুনানির সময় আদালতকে বলেন, আসামি তারেকুজ্জামানের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র, গুলি পাওয়া গেছে। আসামির বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আসামির কাছ থেকে বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। আসামির সহযোগীদের গ্রেপ্তার এবং মাদকের উৎস সম্পর্কে জানার জন্য এই আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
অপরদিকে আসামি তারেকুজ্জামানের আইনজীবীরা আদালতের কাছে দাবি করেন, তারেকুজ্জামান জনপ্রিয় একজন কাউন্সিলর। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গেছে মাত্র ৩৩ হাজার টাকা। তিনি মাদক ব্যবসায়ী নন।
আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে রাত ১২টা ১০ মিনিটে তারেকুজ্জামানকে দুই মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে কাউন্সিলর তারেকুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর এলাকায় বাড়ি দখল জমি দখলসহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। আদালতে দেখা যায়, তারেকুজ্জামান হাসিখুশি ছিলেন। তাঁকে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
তারেকুজ্জামান রাজীব ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনি মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এক মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আবার ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন তিনি।
আরও পড়ুন:
কাউন্সিলর হয়ে বদলে যান রাজীব