২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

কলকাতা বইমেলায় উদ্যাপিত হলো বাংলাদেশ দিবস

কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় ‘বাংলাদেশ দিবস’ উদযাপনের আয়োজনে দুই বাংলার বিশিষ্টজনেরা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় ‘বাংলাদেশ দিবস’ উদযাপনের আয়োজনে দুই বাংলার বিশিষ্টজনেরা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কলকাতার আন্তর্জাতিক বইমেলায় রোববার শেষ দিনে উদ্‌যাপিত হলো বাংলাদেশ দিবস। এ উপলক্ষে বিকেলে বইমেলার এসবিআই মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় একটি বিশেষ সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সেমিনারের বিষয়বস্তু, ‘জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধু ও সোনার বাংলার স্বপ্নের বাস্তবায়ন’।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও ষড়যন্ত্রকারীরা চেয়েছিল বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে। কিন্তু পারেনি। কারণ, বঙ্গবন্ধু আজ আর কোনো ব্যক্তি নন, তিনি একটি আদর্শ ও স্বপ্নের নাম ; যাঁকে কোনো দিন হত্যা করা যায় না।’

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সভাপতি শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে শোষক আর অন্যদিকে শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে। বঙ্গবন্ধু সেই শোষিতদের পক্ষে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন। আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ে উঠছে।’

সেমিনারে আরও ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের অগ্নি নির্বাপণ, জরুরি পরিষেবা এবং বন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সুজিত বসু। বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। স্বাগত ভাষণ দেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান।

মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সভাপতি শামসুজ্জামান খান। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশের বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী, পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ গৌতম ভদ্র এবং বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন এবং কলকাতা বইমেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড এর সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়। আরও কথা বলেন বাংলাদেশের সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

সেমিনার শেষে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের শিল্পীদের পরিবেশিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

কলকাতায় এই ঐতিহ্যবাহী বইমেলার উদ্বোধন হয় গত ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। এই বইমেলা এবার ৪৪ বছরে পা দিয়েছে। এতে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০টি দেশ। ঘণ্টা বাজিয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত কুদাসেভ নিকোলাই রিশাতোভিচ। এবারের বইমেলার থিম কান্ট্রি ছিল রাশিয়া।

বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন তৈরি হয়েছে শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবনের আদলে। সেখানে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের ৪১টি প্রকাশনা সংস্থাকে। এর মধ্যে ৯টি রয়েছে সরকারি প্রকাশনা সংস্থা।

এবারের এই বইমেলায় কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ৬০০ প্রকাশনা সংস্থা যোগ দিয়েছে। আরও যোগ দিয়েছে ২০০টি লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশনা সংস্থা।