করোনা: রেলের অগ্রিম টিকিট ১০ দিন নয়, ৫ দিন আগে
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ট্রেন চলাচলে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বনের পথে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এত দিন আন্তনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ১০ দিন আগে থেকে বিক্রি করা হতো। আগামীকাল সোমবার থেকে তা পাঁচ দিনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, কোনো কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ করার পরিস্থিতি হলে কিংবা ট্রেনের চলাচল কমিয়ে ফেলার প্রয়োজন হলে অগ্রিম টিকিটের টাকা ফেরত দিতে হবে। ১০ দিন আগে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হলে তা কিছুটা ঝক্কির হবে। তাই অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময়সীমা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ দুপুরের আগে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম ওরফে সুজন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, রেলের মহাপরিচালক মো. শাসুজ্জামানসহ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে রেলের আয় কমে যাওয়ার তথ্য উঠে আসে। এ পরিস্থিতিতে কিছু মেইল ও লোকাল ট্রেনের চলাচল কমিয়ে দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে ট্রেন বন্ধ করার মতো সিদ্ধান্ত সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে না এলে সম্ভব নয় বলে এর জন্য অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত হয়।
জানতে চাইলে রেলের মহাপরিচালক শাসুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, অগ্রিম টিকিট ১০ দিনের পরিবর্তে পাঁচ দিন আগে থেকে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ টিকিট উন্মুক্ত হয়ে গেছে। তাই কাল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
রেলের পরিচালন বিভাগের সূত্র বলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর ট্রেনের যাত্রী বিপুলভাবে বেড়ে যায়। বিশেষ করে ১৬ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত ঢাকার কমলাপুর, বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের আয় বেড়ে যায়। কিন্তু গত দুই দিনে আয় ব্যাপক কমে গেছে। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকার পথে যাত্রী একেবারেই কমে গেছে।
রেলে পরিচালনায় যুক্ত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, রেল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত কোনো কোনো কর্মীদের মধ্যে কিছুটা ভাইরাস আতঙ্কও কাজ করছে। বিশেষ করে স্টেশন ও ট্রেনে দায়িত্ব পালন করা কর্মীরা কিছুটা ঝুঁকিতে আছে। এর মধ্যে কারও কারও জ্বর হয়েছে বলে খবর আসছে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মতো কোনো লক্ষণ এখনো নেই।
জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গত দুই দিনে রেলের আয় কমেছে। তবে ট্রেন বন্ধ করার মতো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এর জন্য সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত লাগবে। তবে ইঞ্জিন-কোচ বা চালকের সংকট হলে এমনিতে কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন স্বাভাবিক সময়েও বন্ধ রাখা হয়।