২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

করোনা গেলে আমরা কি আগের স্বরূপে আবির্ভূত হবো: আইজিপি

ডিএমপির বিশেষ অপরাধ ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় বক্তব্য দেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ। ছবি: পুলিশ সদরদপ্তর
ডিএমপির বিশেষ অপরাধ ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় বক্তব্য দেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ। ছবি: পুলিশ সদরদপ্তর

মহামারির সময়ে পুলিশের যে ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে, সেখান থেকে বাহিনীর সদস্যরা সরে আসবেন কি না সেই প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। আজ শনিবার রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত বিশেষ অপরাধ ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন আইজিপি।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ওই সভার আয়োজন করেছিল।

পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘একদিন করোনা চলে যাবে, এরপর কি হবে, আমরা কি আবারও আমাদের আগের স্বরূপে আবির্ভূত হব ?’ তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পুলিশ এত সম্মান, এত মর্যাদা আর কখনো পায়নি, গত তিন মাসে তা পেয়েছে। এখন জনগণ পুলিশের পক্ষে কথা বলছে, পুলিশের জন্য লিখছে, যারা কথায় কথায় পুলিশের সমালোচনা করতেন, তারাও আজ পুলিশের পক্ষে হৃদয় উজাড় করে বলছেন, পুলিশকে সমর্থন করেছেন। যে সম্মান মর্যাদা আমরা গত তিন মাসে পেয়েছি তা টাকা দিয়ে কেনা যায় না, মানুষের ভালোবাসা পেতে হলে মানুষের সঙ্গে থাকতে হয়, তাদের কাছে যেতে হয়, মানুষকে ভালোবাসতে হয়।’

পুলিশ প্রধান বলেন, জনগণের পুলিশ হতে হলে কি করতে হবে ? পুলিশকে সব ধরনের দুর্নীতি মুক্ত হতে হবে। তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থান এখন শূন্য সহনশীল। পুলিশে কোনো দুর্নীতিবাজের ঠাঁই নেই। মাদকের সঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্যের সম্পর্ক থাকবে না। পুলিশকে হতে হবে মাদকমুক্ত। পুলিশের নিষ্ঠুরতা বন্ধ করে আইনি সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

পুলিশ কে বদলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বেনজীর বলেন, ‘আসুন, আমরা পরিবর্তিত হই, দেশকে পরিবর্তন করি।’

পুলিশে ‘বদলির তদবির কালচারকে’ চিরতরে বিদায় করার ঘোষণাও দিয়েছেন বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন ইতিমধ্যে গতানুগতিক ধারা পাল্টে বদলিতে নতুনত্ব আনা হয়েছে। ঢাকার বাইরে পুলিশ কর্মকর্তাদের পাঠাতে বিভাগীয় শহরগুলোয় মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মানসম্মত চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান পুলিশ মহাপরিদর্শক।

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।