কক্সবাজারের জন্য বিশ্বব্যাংকের ৪৩০০ কোটি টাকা
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণের উন্নয়ন, বন ব্যবস্থাপনা এবং গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন এই তিনটি প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৫১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা) অর্থ অনুমোদন করেছে।
মিয়ানমারে সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে আশ্রয়দানকারী স্থানীয় কমিউনিটিসহ গ্রামীণ জনগণের দারিদ্র্য হ্রাস এবং নতুন জীবিকায়নের সুযোগ সৃষ্টির সহায়ক হিসেবে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি কিমিয়াও ফান বলেন, এই তিনটি প্রকল্প গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসা মানুষের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করবে, একই সঙ্গে দেশের জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের সক্ষমতার উন্নয়ন ঘটবে।
বিশ্বব্যাংক সাসটেইনেবল ফরেস্ট অ্যান্ড লাইভলিহুড প্রকল্পে ১৭৫মিলিয়ন ডলার দেবে। এর মাধ্যমে স্থানীয় কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করে সমন্বিত বন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে। উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনীসহ প্রায় ৭৯,০০০ হেক্টর বনে গাছ লাগানো হবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ন্যাচারাল রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট এবং প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার মাধবী পিল্লাই বলেন, উপকূলীয়, পার্বত্য এবং দেশের মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোতে ৪০ হাজার পরিবার এতে লাভবান হবে।
কোস্টাল মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পে দেওয়া হবে ২৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম রুরাল ট্রান্সপোর্ট ইমপ্রুভিং প্রকল্পে বাড়তি বরাদ্দ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।