২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীকে দুষলেন কাদের মির্জা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা
ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বড় ভাই এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন আবদুল কাদের মির্জা।

পাঁচ দিন আগে বসুরহাটে সংঘর্ষে আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় পৌর মেয়র কাদের মির্জা ও তাঁর ছেলেসহ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আজ রোববার আদালতে মামলার আবেদন যাওয়ার পর এ অভিযোগ করেন তিনি।


আজ বিকেলে ফেসবুক লাইভে এসে কাদের মির্জা বলেন, ‘আজকে কোম্পানীগঞ্জের অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী ওবায়দুল কাদের সাহেবের সহধর্মিণী (ইশরাতুন্নেছা কাদের)। ওবায়দুল কাদের সাহেবের ওপর প্রভাব খাটিয়ে তিনি এ কাজগুলো করছেন। ফেনীর অপরাজনীতির হোতা নিজাম হাজারী (সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী) আর নোয়াখালীর অপরাজনীতির হোতা সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী তাঁর সঙ্গে রয়েছে।’
গত জানুয়ারির ভোটে দ্বিতীয় দফায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হওয়া কাদের মির্জা প্রথম আলোচনায় এসেছিলেন যে বক্তব্য দিয়ে, সেখানেও এই ভাবির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাঁর। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হলেও ভাবির সঙ্গে মিলে স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংসদ তাঁর বিপক্ষে কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সে সময়ই দলের স্থানীয় সাংসদের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন তিনি।

পরে ভোটে জয়ী হয়েও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের একাংশ, সাংসদ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দিয়ে যান কাদের মির্জা। তারই জের ধরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে কাদের মির্জা এবং ওবায়দুল কাদেরর অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেওয়া আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা মিজানুর রহমানের (বাদল) অনুসারীদের সংঘর্ষে বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নামের একজন সাংবাদিক নিহত হন। এরপর গত মঙ্গলবার (৯ মার্চ) উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে দ্বিতীয় দফায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন নামের এক যুবলীগের কর্মী নিহত হন।


আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন আজ রোববার নোয়াখালীর আদালতে আবদুল কাদের মির্জা, তাঁর ভাই শাহদাত হোসেন এবং কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের ওরফে তাসিকসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আর্জি নিয়ে যান। বিচারকের শুনানি নিয়ে এ ঘটনায় এর আগে কোম্পানীগঞ্জ থানায় কোনো মামলা হয়েছে কি না, তা জানতে চেয়ে ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।


ফেসবুক লাইভে বক্তব্যে তাঁকে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন কাদের মির্জা। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিনে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এবং কাউকে না কাউকে হত্যা করে আমি এবং আমার নেতা–কর্মীদের ফাঁসানোর জন্য একটা ষড়যন্ত্র চলছে। ইতোমধ্যে সাংবাদিক মুজাক্কিরকে হত্যা করা হয়েছে। আমাকে হত্যা করতে না পেরে আলাউদ্দিন নামের একজন সিএনজিচালককে হত্যা করেছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত জুয়েল ও জাহাঙ্গীর নামের দুজনের বিরুদ্ধেও তাঁর বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগ করেছেন কাদের মির্জা।