ওই বিচারকের বিষয়ে ব্যবস্থা চেয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেবেন আইনমন্ত্রী
ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পরে ধর্ষণের মামলা না নেওয়ার কথা বলে আলোচনায় আছেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক। তাঁর ওই বক্তব্য বেআইনি ও অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, এ কারণে বিচারক হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে জন্য প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখবেন।
গত বৃহস্পতিবার বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ে পাঁচ আসামিকে খালাস দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার। রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষণের ঘটনার ৩৮ দিন পর কেন মামলা করা হয়েছে, সে বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।
ভবিষ্যতে সঠিক তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেন আদালত। একই সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর পুলিশ যেন মামলা গ্রহণ না করেন, সে বিষয়েও রায়ে বলা হয়।
বিচারকের এই নির্দেশনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীরা। এই নির্দেশনা ন্যায়নীতির পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল।
আজ শনিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলার রায়ে ৭২ ঘণ্টা পরে ধর্ষণ মামলা না নিতে বিচারিক আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, এটি কীভাবে দেখছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘একটি কথা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমি উনার (বিচারক) রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে এখন কথা বলতে চাই না। কিন্তু উনার (বিচারক) অবজারভেশনে ৭২ ঘণ্টা পরে পুলিশ যেন কোনো ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়, এই যে বক্তব্য উনি দিয়েছেন, এটি সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ কারণে আমি আগামীকাল (রোববার) প্রধান বিচারপতির কাছে তাঁকে বিচারক হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে জন্য একটা চিঠি লিখছি। কাল (রোববার) চিঠি দেওয়া হবে।’