২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ঐক্যবদ্ধ আ.লীগ, হতোদ্যম ঐক্যফ্রন্ট

নির্বাচন সামনে রেখে পাবনা-১ আসনের আওতাভুক্ত বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের বিরোধ মিটিয়ে নেতা-কর্মীরা মিলিতভাবে নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন। শুধু তা–ই নয়, বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকায় ভোট চাইতে শুরু করেছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে বেড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি আবদুল মান্নান পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা সবাই এখন নৌকার জন্য ভোট চাইছেন।

অন্যদিকে ঠিক এর উল্টো অবস্থা নৌকা প্রতীকের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের ক্ষেত্রে। এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের ঐক্যফ্রন্ট (গণফোরাম) প্রার্থীর পক্ষে প্রচার–প্রচারণা নেই বললেই চলে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের খুব একটা মাঠে দেখা যাচ্ছে না। জামায়াতের নেতা-কর্মীরাও  চুপচাপ। এমনকি ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর নিজের অনেক অনুসারীই তাঁকে ছেড়ে নৌকার পক্ষে কাজ করছেন।

পাবনা-১ (সাঁথিয়া ও বেড়ার একাংশ) আসনে মোট প্রার্থী আটজন। কিন্তু মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের শামসুল হক টুকু ও ধানের শীষ নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের আবু সাইয়িদ। আবু সাইয়িদ এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দল মনোনয়ন না দেওয়ায় তিনি গণফোরামে যোগ দিয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এ আসনে লড়াইয়ে নেমেছেন। বেড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, বেড়া-সাঁথিয়ার আওয়ামী লীগ এখন পুরোপুরি ঐক্যবদ্ধ। সবাই এককাট্টা হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করছেন।

এদিকে আবু সাইয়িদকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বরণ করে নিলেও জামায়াত এখনো চুপচাপ। এ ছাড়া প্রথম দিকে ধানের শীষের প্রচারণায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা সরব থাকলেও এখন তাঁদের বেশির ভাগই মাঠে নেই। আবু সাইয়িদ বলেন, ‘শামসুল হক টুকুর লোকজন প্রচার-প্রচারণায় ব্যাপকভাবে বাধা দেওয়ায় আমার নেতা-কর্মীরা মাঠে নামতে পারছে না।’