এসএসসি পরীক্ষায় ধর্ম শিক্ষা বাদ দেওয়ার সুপারিশের নিন্দা হেফাজতের

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দেওয়ার সুপারিশের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, ৯২ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে এ ধরনের সুপারিশ জাতি কখনো মেনে নেবে না।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের নিয়ে গঠিত ‘আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি’ এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষাক্রম নিয়ে এক গুচ্ছ সুপারিশ তুলে ধরে। সেখানে এসএসসি পরীক্ষায় ‘তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, ধর্ম, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয় বলে জেনেছে হেফাজতে ইসলাম।

বিবৃতিতে অবিলম্বে এ সুপারিশ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের দুই নেতা। তাঁরা বলেন, এসএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষা না থাকলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের কাছে ওই বিষয়ের আর গুরুত্ব থাকে না। তখন সংগতভাবেই ধর্মীয় শিক্ষা গুরুত্ব হারাবে। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়ে নাস্তিক্য ধ্যানধারণার প্রসার ঘটাবে। এর প্রভাবে দেশে মাদকের কারবার, খুনখারাবি, অপরাধপ্রবণতা, ধর্ষণ ও নারী-নিপীড়ন বাড়বে। পরিবার ও সমাজব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে। ভোগবাদের প্রতি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও বেশি ঝুঁকে পড়বে।

বিবৃতিতে হেফাজতের নেতারা এসএসসি পরীক্ষায় ধর্ম শিক্ষা বাদ দেওয়ার সুপারিশ বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।