এনআইডি জালিয়াতির মামলা: ইসির ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ৫ দিনের রিমান্ডে
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ল্যাপটপ, পেনড্রাইভসহ গ্রেপ্তার ইসির ডেটা এন্ট্রি অপারেটর মোস্তফা ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
নগরের পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকার বাসা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রাম। তাঁর কাছ থেকে ইসির একটিসহ দুটি ল্যাপটপ, তিনটি পেনড্রাইভ, তিনটি সই প্যাডসহ (যার গায়ে রাউজান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লেখা আছে) এনআইডি তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আসামি মোস্তফাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে আসামির কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
গত ২২ আগস্ট লাকী নামের এক নারী চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এনআইডির স্মার্ট কার্ড তুলতে গেলে কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ওই নারী রোহিঙ্গা। জালিয়াতির মাধ্যমে তাঁর ভুয়া এনআইডিটি সার্ভারে দেখা যাচ্ছে। ‘রোহিঙ্গা নারীর ভুয়া এনআইডি ইসির সার্ভারে’ শিরোনামে প্রথম আলোতে গত ২৩ আগস্ট প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি প্রথমবারের মতো সবার নজরে আসে। এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নালসহ তিনজনকে গত সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তিনজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার নগরের হামজারবাগের বাসা থেকে মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছে ছবি তোলার কাজে ব্যবহৃত ক্যামেরার ব্যাটারি ও বিপুলসংখ্যক এনআইডি কার্ড লেমিনেটিং পাউন্স পাওয়া যায়। ইসির এসব জিনিসপত্র মোস্তফার বাসায় কেন, জানতে চাইলে আদালত প্রাঙ্গণে কোনো উত্তর দেননি তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, আসামি মোস্তফাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। এক দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ায় এ মামলার অন্য দুই আসামি সুমাইয়া আক্তার ও বিজয় দাসকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের কাছ থেকে এনআইডি জালিয়াত চক্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।