২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

এককাট্টা আ.লীগ নেতারা

ফরহাদ হোসেন
ফরহাদ হোসেন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী সাংসদ ফরহাদ হোসেনের পক্ষে এককাট্টা হয়েছেন মেহেরপুরের আওয়ামী লীগের নেতারা। দলের মধ্যে বিভেদ ভুলে নৌকাকে জেতাতে মাঠে নেমেছেন মনোয়নবঞ্চিত নেতা জয়নাল আবেদীন, ইয়ারুল ইসলামসহ অনেকে।
দলের একাধিক নেতা জানান, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণকে নির্বাচনের মাঠে হারাতে নৌকার ঐক্য ছাড়া গতি নেই। নৌকাকে জেতাতে সব বিভেদ অভিযোগ–অনুযোগ ভুলে ভোটারদের দ্বারে ঘুরছেন নেতারা। সরকারের নানাবিধ উন্নয়ন চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে তাঁরা পাড়া–মহল্লায় গণসংযোগ চালাচ্ছেন।
মেহেরপুর–১ আসনটি দুটি উপজেলা ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ১৯২ হাজার জন। পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার বেশি ২ হাজার ১৮৬ জন। ২০০৮ সালে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন জয়নাল আবেদীন। ওই নির্বাচনে বিএনপির মাসুদ অরুণকে হারিয়ে তিনি বিজয়ী হন। ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন জয়নাল আবেদীনকে না দিয়ে সাবেক সাংসদ ছহিউদ্দিনের ছেলে ফরহাদ হোসেনকে দেওয়া হয়। এবারও দলের একাধিক নেতা মনোনয়নের দাবি করলেও শেষ পর্যন্ত ফরহাদ হোসেনই মনোনয়ন পেলেন। তিনি মনোনয়ন পাওয়ায় প্রতীক বরাদ্দের আগ পর্যন্ত তাঁর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন মনোনয়ন বঞ্চিতরা। কিন্তু প্রতীক বরাদ্দের পরে ১০ ডিসেম্বর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল হালিম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান উপস্থিত থেকে নৌকাকে জেতাকে ফরহাদে পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। পরে সদরের বেশ কয়েকটি গ্রামে ফরহাদের সঙ্গে গণসংযোগ করেন জয়নাল আবেদীন।
এই আসনে জাতীয় পার্টি থেকে আবদুল হামিদ, জাকের পার্টির সাইদুল আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবুল কালাম কাছেমী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।