‘আমার কথা কেউ শুনতে পায়তেছে না, দম বন্ধ হয়ে গেছিল বাঁচাও বাঁচাও বলতে বলতে। পানির পিপাসায় আমার আওয়াজ বের হয় না গলা দিয়ে। মনে পড়লে এহনো কান্দন আসে।’
রানা প্লাজা ধসের পর ৭২ ঘণ্টা মৃত্যুকূপে কাটানো সেই ভয়াল স্মৃতি বর্ণনা করলেন জুয়েল রানা। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলো কার্যালয়ে মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে জুয়েল রানাসহ ১০ জনকে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হয়। প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম আহত ব্যক্তিদের হাতে চেক তুলে দেন।
জুয়েল রানার মতো জ্যোৎস্না বেগমের মেরুদণ্ডের হাড় ভাঙা, সুস্থ হতে ছয় মাস লাগবে। জ্যোৎস্না জানান, এ টাকায় দরজির দোকান দিয়ে রোজগার করবেন।
যাঁদের সহায়তা করা হলো: জোৎস্না বেগম, আবদুর রশিদ (নওগাঁ), লাকি আক্তার, আবদুর রশিদ (জয়পুরহাট), মেঘলা খাতুন, সাবিনা, খোদেজা বেগম, শিউলি আক্তার, জুয়েল রানা ও মোবারক হোসেন।
সহায়তা তহবিলের পরিকল্পনা: মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিলের আওতায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২০ জনকে বাছাই করে তাঁদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া ও পুনর্বাসনের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত এই সহায়তা পেয়েছেন মোট ৫০ জন।
তহবিলে মোট জমা পড়েছে দুই কোটি ১৫ লাখ ২৯ হাজার ৯২৩ টাকা। এখন পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ৯২ লাখ ৯৭ হাজার ৬১৮ টাকা।