উত্তরখানে আগুনে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু
রাজধানী ঢাকার উত্তরখানে আগুনে দগ্ধ হওয়া আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ওই শিশুর নাম সাগর (১০)। শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সে মারা যায়।
সাগরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, দগ্ধ সাগরের অবস্থা গুরুতর ছিল। গতকাল শনিবার রাতে সে মারা গেছে। স্বজনেরা লাশ নিয়ে গেছেন। এ নিয়ে আগুনে দগ্ধ হওয়া ছয়জন মারা গেলেন।
১৩ অক্টোবর ভোররাত চারটার দিকে উত্তরখানের ব্যাপারীপাড়া এলাকায় হেলাল মার্কেটের কাছে তিনতলা ভবনের একটি ফ্ল্যাটে গ্যাসের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। এতে ওই ফ্ল্যাটে বসবাসকারী তিন পরিবারের আটজন দগ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে চারজন নারী, তিনজন পুরুষ ও একজন শিশু। ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেদিন সকালেই মো. আজিজুল ইসলাম (২৭) নামের একজনের মৃত্যু হয়। সেদিনই সন্ধ্যায় মারা যান তাঁর স্ত্রী মুসলিমা বেগম (২০)। আজিজুলের ফুফু সুফিয়া বেগম মারা যান পরদিন। এরপর ১৬ অক্টোবর রাতে সুফিয়ার মেয়ে পূর্ণিমা এবং পরদিন সকালে আজিজুলের বোন আঞ্জু আরার স্বামী ডাবলু মোল্লা মারা যান। ওই ঘটনায় দগ্ধ আজিজুলের বোন আঞ্জু আরা (২৫) এবং তাঁর ছেলে আবদুল্লাহ সৌরভ (৫) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে।
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, অসাবধানতার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাতের বেলায় বাড়িটির চুলায় গ্যাস ছিল না। অসতর্ক অবস্থায় চুলার সুইচ বন্ধ না করেই তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন। চুলায় গ্যাস আসার পর দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় গ্যাস বের হওয়ার পথ পায়নি। অন্য দিনের মতো ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা ভোরে রান্না করতে উঠে আগুন জ্বালানো মাত্র চারপাশে আগুন ধরে যায়। ফ্ল্যাটে যে কয়জন ছিলেন, সবাই দগ্ধ হয়েছেন।
বাড়িওয়ালা মেহেদি হাসান প্রথম আলোকে বলেছেন, দেড় বছর আগে ওই তিন পরিবার ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয়। তাঁরা সবাই পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তিনি বলেন, আগুনে বাড়ির কাঠামোগত ক্ষতি কম হয়েছে।