ইলিশ অভয়াশ্রমে মাছ ধরায় ১৪ জেলে দণ্ডিত
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীর ইলিশ অভয়াশ্রমে মাছ ধরার অপরাধে রোববার সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ১৪ জেলেকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম মোহাম্মদ রফিকুল হক ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন: ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলার মলংচড়া এলাকার মো. ইলিয়াস, মো. সিরাজ, মো. নোমান, মো. মনির, সোনাপুর এলাকার মো. আইয়ুব, নুরে আলম, মো. মিজান, মো. মিরাজ, মো. রিয়াজ, মো. শাহীন, লালমোহন উপজেলার মো. ইউনুছ, লোকমান হোসেন, নাজিম উদ্দিন ও নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মো. ইসমাইল।
রামগতি উপজেলা মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন ও সংরক্ষণবিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্যসচিব উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন জানান, আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগের চার দিন ও পরের সতেরো দিন ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম। এ সময় মেঘনা নদীর ইলিশ অভয়াশ্রমে মা ইলিশ ডিম ছাড়তে আসে। এ কারণে রামগতি উপজেলার বয়ার চরের টাংকি বাজার থেকে চাঁদপুরের মতলব উপজেলার ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১২০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় রোববার ভোরে আবদুল্লাহর চরের হুজুরের খাল এলাকায় মেঘনা নদী থেকে দুই হাজার মিটার জাল, ইঞ্জিনচালিত দুটি নৌকাসহ ১৪ জেলেকে আটক করে উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও রামগতি থানার পুলিশ।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আরিচুল হক জানান, আটক জেলেদের রোববার সকালে নির্বাহী হাকিম মোহাম্মদ রফিকুল হকের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরার অপরাধ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের প্রত্যেককে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা জাল ও নৌকা নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষে (২৮ অক্টোবরের পরে) নিলামে বিক্রি করার আদেশ দেন। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জেলেদের রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা করাগারে পাঠানো হয়েছে।