আগামী ১ জুলাই থেকে দেশের প্রতিটি নৌঘাটের ইজারা প্রথা বন্ধ করে সরকারি টোল আদায়ের দায়িত্ব পাবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি)। গত শুক্রবার রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এ ঘোষণা দেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রাম বাজারের কাছে ‘সার্বিক ফিলিং স্টেশন’ নামের একটি তেলের পাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন মন্ত্রী। ওই পাম্পটির স্বত্বাধিকারী হাফিজুর রহমান খান তাঁর ভাই। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক সাংসদ কাজী জাফরউল্যা।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রহিম বকস। তিনি তাঁর বক্তব্যে অভিযোগ করেন, কাওড়াকান্দি ঘাট চাঁদাবাজদের আখড়া হয়ে উঠেছে। ঘাটের ইজারাদারদের স্বেচ্ছাচারিতা ও মাস্তানির কারণে গাড়ির চালক ও যাত্রীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
একই অভিযোগ করে কাজী জাফরউল্যাও পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগেই কাওড়াকান্দি ঘাটে মাস্তানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার আহ্বান জানান। নৌমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি বন্ধ করুন। কারও হুমকি বরদাশত করবেন না।’
জবাবে নৌপরিবহনমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘ইজারাদারেরা হলেন মধ্যস্বত্বভোগী। তাঁরা সরকারকে কম টাকা দিয়ে ঘাটের ইজারা নিয়ে চালক ও যাত্রীদের হয়রানি করে নিজেদের আখের গোছান। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দেশের সব ঘাটে ইজারাদারদের দাপট কমিয়ে আনার। এ কারণে ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে প্রতিটি ঘাটের সরকারি টোল আদায় করবে বিআইডব্লিউটিসি। তখন ঘাটগুলো থেকে মধ্যস্বত্বভোগী চাঁদাবাজ ও মাস্তানেরা উৎখাত হবে।’