আশুলিয়ায় গ্যাস লাইনের বিস্ফোরণে দগ্ধ ৫
সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাসায় গ্যাসের লাইনের বিস্ফোরণে পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুরের মানিকগঞ্জ পাড়ার একটি বাড়ির নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন আরব আলী (৫২), তাঁর স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪৫), ছেলে আবদুল্লাহ (২৮), ছেলের বউ রিপা বেগম (২৫), নাতনি আয়েশা আক্তার (দেড় বছর)। তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।
বাড়ির মালিক আবদুল হামিদ জানান, উনি বছরখানেক আগে টাকা দিয়ে অবৈধভাবে গ্যাসের সংযোগ নেন।
আশুলিয়া থানার পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস বলছে, প্রাথমিকভাবে গ্যাস লাইনের লিক থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দগ্ধ ব্যক্তিদের পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, ওই বাসার নিচতলায় ওই পরিবারটি ভাড়া থাকত। দুই ঘরে তাঁরা ঘুমাতেন। ধারণা করা হচ্ছে সকালে রান্না ঘরে যাওয়ার পর দেশলাই জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে এ বিস্ফোরণ ঘটে। গ্যাসের লাইনে লিক বা চুলা না নেভানোর কারণে পুরো ঘরে গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছিল। বিস্ফোরণে দরজা জানালা ভেঙে যায়।
প্রতিবেশী সালমা আক্তার জানান, প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়ে তারা ঘর থেকে বের হন। তিনি দেখতে পান, অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিরা বাসা থেকে দৌড়ে বের হচ্ছেন। তাদের দুজনের শরীরে তখনো আগুন জ্বলছিল। পরে তাঁরা পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। অন্যরা মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছিলেন। দগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজার হারুন অর রশিদ বলেন, আগুনে তাঁদের পাঁচজনের শরীরের ৭০ থেকে ৯০ ভাগ পুড়ে গেছে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জালাউদ্দীন বলেন, দগ্ধদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, এটা অবৈধ গ্যাসের লাইন ছিল। দোতলা বাড়িতে ৫ থেকে ৬টি ফ্ল্যাট আছে। সবগুলোতেই অবৈধ গ্যাসের সংযোগ ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির মালিককে আটক করা হয়েছে।