২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

আশিতেও তিনি চান হাসিতে

শামসুর রহমান
শামসুর রহমান

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনার পাঁচটি আসনে মোট ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ হচ্ছেন পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। বর্তমানে তাঁর বয়স ৮০ বছর। ফলে বয়সের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে বিজয়ের শেষ হাসিটা তিনিই হাসতে চান।

শামসুর রহমান শরীফের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাস। পেশায় জোতদার। পৈতৃক সূত্রে ৬০ বিঘা জমির মালিক। আয়ের প্রধান উৎস কৃষি খাত। তবে বর্তমানে সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্য ভাতা থেকে বছরে ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় করছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের চার–পাঁচজন জ্যেষ্ঠ নেতা ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শামসুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য লড়েছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। দীর্ঘদিন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন ১৯৯৬ সালে। এরপর থেকে তাঁকে আর কেউ পরাজিত করতে পারেননি। পরপর চারবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বশেষ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বর্তমানে বয়সের ভারে মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়লেও এখনো বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে তিনি এলাকায় চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চান। পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও কলেজগুলোতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্স চালুর স্বপ্ন দেখেন। নির্বাচনী প্রচারণাতেও তিনি এসব প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

শামসুর রহমান জানিয়েছেন, বিগত দিনে তিনি নির্বাচিত হয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, পাকশী কাগজকল পুনরায় চালু, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ ও উপজেলার সাড়া ইউনিয়নে পদ্মা নদীর বাঁ তীরে স্থায়ী নদীভাঙন রোধ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন, মসজিদ-মন্দিরসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন। এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে তিনি আবার নির্বাচিত হতে চান।

এবার এ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান। ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন। তখন তিনি এখানকার বিএনপির প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সরদারের কাছে পরাজিত হন। সেই বিগত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার প্রচার–প্রচারণা চালাচ্ছেন হাবিবুর রহমান। তিনিও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে তাঁর প্রচার–প্রচারণাকে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ঐক্যফ্রন্টের এ প্রার্থী। কোনো ধরনের বাধা না এলে ও মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারলে এ আসনে এবার ধানের শীষ জয়লাভ করবে বলে তিনি মনে করেন।

এ প্রসঙ্গে শামসুর রহমান বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল আছে। তাই ভোটে বিএনপি ভালো করতে পারবে না। এখানে বিজয় নৌকারই হবে।

জানতে চাইলে আটঘরিয়া উপজেলা সদরের মাসুদ আলম বলেন, অভিজ্ঞতার একটা দাম অবশ্যই আছে। তবে কেউ কারও থেকে কম যান না। ফলে হিসাবটা ৩০ তারিখেই বোঝা যাবে।