৫৭ ধারার মামলায় তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
একটি লেখা নিয়ে দৈনিক আল ইহসান–এর সম্পাদক মাহবুব আলমের দায়ের করা মামলায় প্রবাসী লেখিকা তসলিমা নাসরিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।
এই অভিযোগপত্রে অপর যে দুজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তাঁরাও নারী অধিকারের পক্ষে লেখালেখি করেন। তাঁরা হলেন উইমেন চ্যাপ্টারের সম্পাদক সুপ্রীতি ধর ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সুচিস্মিতা সিমন্তি। দুজনই বর্তমানে প্রবাসী জীবন কাটাচ্ছেন।
দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করে আসা সুপ্রীতি ধর উইমেন চ্যাপ্টারসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে নারী অধিকারের পক্ষে লেখালেখি করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক নাজমুল নিশাত ৩ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। তাঁদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) ৫৭ ধারা ও ৬৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আল ইহসান সম্পাদক মামলায় লীনা হক নামের আরেক নারীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছিলেন। তবে তাঁর পূর্ণাঙ্গ নাম–পরিচয় জানতে না পারায় মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে তসলিমাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল নিশাত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, উইমেন চ্যাপ্টারে ২০১৮ সালে তসলিমা নাসরিনের ‘ধর্ষকের কাছে নারীর কোনো ধর্ম নেই’ শিরোনামে একটি লেখা প্রকাশিত হয়। পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার হয়। এ ঘটনায় মাসিক আল-বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল ইহসানের সম্পাদক মাহবুব আলম বাদী হয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল তসলিমা নাসরিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য শাহজাহানপুর থানাকে নির্দেশ দেন।
পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা অনলাইনে নিজেদের বিভিন্ন লেখা প্রকাশ এবং সেগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি ক্ষুণ্ন করার অভিপ্রায়ে লিপ্ত রয়েছেন।