চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাস্তার পাশে আমের বাগান না আমবাগানের ভেতরে রাস্তা, কখনো কখনো তা ঠাহর করা খুবই মুশকিল। আমগাছ বা আমবাগান এখানকার জীবন-জীবিকার সঙ্গে এক হয়ে আছে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-আমনূরা সড়কের পাশে জামতাড়ায় ‘মনামিনা কৃষি খামারে’ গেলে কিছুটা ধাক্কা খেতে হয়। খামারটি মূলত একটি ফলের বাগান। হেমন্তের এই সময়ে খামারের গাছে গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় কাঁচা-পাকা কমলা। বরেন্দ্র অঞ্চলের এই ভূমিতে খামারটির উদ্যোক্তা মতিউর রহমান কমলা ফলিয়ে রীতিমতো বিপ্লব করে ফেলেছেন। সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলা রঞ্জন দাশও খামারটি পরিদর্শনের পর এমন মন্তব্যই করেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের ট্রাকচালক মতিউর রহমানের ওই খামারের মাল্টা এর আগে সবাইকে তাক লাগিয়েছিল। জাতীয় পর্যায়ের একাধিক পুরস্কারও পান তিনি। শুধু দেখতে নয়, এখানকার কমলা ও মাল্টা খেতেও ভালো।
মতিউর রহমান বলেন, ১৬ বিঘার বাগানে মাল্টা, আম, পেয়ারার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মেন্ডালিন, চায়না ও অস্ট্রেলিয়া জাতের কমলার গাছ রয়েছে ৫০০টি। গত বছর থেকে এগুলোতে ফল হচ্ছে। এবার গাছপ্রতি ফলন গড়ে ২৫ কেজি। বাগান থেকেই এখন বিক্রি করছেন ১৬০ টাকা কেজি দরে। গত বছর কমলা থেকে আয় হয়েছিল ২ লাখ টাকা, এবার ৫ লাখের আশা করছেন তিনি। ইতিমধ্যে তিনি কমলার প্রায় আট হাজার চারা বিক্রি করেছেন। আকার ভেদে এসব চারার দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা। তিনি জানান, এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ মাল্টার চারা বিক্রি করেছেন। এ চারা দিয়ে বরেন্দ্র অঞ্চলসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেড় শতাধিক মাল্টার বাগান গড়ে উঠেছে। এ বছর থেকে শুরু হয়েছে কমলা বাগান গড়ে ওঠা।