আবরার হত্যা: ২৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট পরিবার
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বুয়েট থেকে ২৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে তাঁর পরিবার। আজ শুক্রবার বিকেলে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন ও ভাই আবরার ফাইয়াজ প্রথম আলোকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় এই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ২৬ শিক্ষার্থীকে আজীবন বা স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় অন্য ছয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়। আবরার হত্যার ঘটনায় বুয়েটের করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বুয়েটের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন এ সিদ্ধান্ত নেয়। বহিষ্কৃত ২৬ জনের মধ্যে ২৫ জন পুলিশের অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেরিতে হলেও বুয়েট প্রশাসন ওদের ছাত্রত্ব চিরতরে বাতিল করেছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট। বুয়েট প্রশাসন, পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এখন যেন হত্যা মামলার দ্রুত রায়ের পর শাস্তি কার্যকর করা হয়।’
বুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আবরারের মা বলেন, ‘বুয়েট প্রশাসন যেন শিক্ষার্থীদের অন্য দাবি দুটি দ্রুত মেনে নেয়। আমার ছেলের জন্য তারা যা করেছে, তাতে আমি কৃতজ্ঞ।’
আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ প্রথম আলোকে বলে, ‘এখন দাবি একটাই, দ্রুত যেন বিচার শেষ হয়। আর আসামিরা যেন রায়ের আগে জামিন না পায়।’
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এ ঘটনার পর থেকে প্রথমে ক্যাম্পাসে আন্দোলন ও পরে একাডেমিক অসহযোগে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে বুয়েট কার্যত অচল রয়েছে। ওই ঘটনায় আবরারের বাবার করা মামলায় ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: