আন্তর্জাতিক কর্মশালা: উপকূলের সুরক্ষায় মানসম্মত গবেষণার তাগিদ
বাংলাদেশের মোট আয়তনের ৩২ শতাংশ উপকূলীয় এলাকা। দেশের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ এ অঞ্চলে বাস করে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে উপকূলের মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে এ অঞ্চলের মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে নিরন্তর মানসম্পন্ন গবেষণা দরকার।
‘বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দীর্ঘ মেয়াদে মনিটরিং, গবেষণা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালায় এসব কথা বলেছেন বক্তারা। আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হয়। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং, ডিএইচআই এবং ডেলটারেসের যৌথ সহযোগিতায় এই সম্মেলন হচ্ছে।
দুদিনের অনুষ্ঠানে ৯টি গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হবে। উপকূলের পোল্ডার, লবণাক্ততা, জলবায়ু পরিবর্তনের নানামুখী প্রভাব নিয়ে এসব গবেষণা করেছেন দেশ-বিদেশের একাধিক গবেষক।
আজকের কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ার। তিনি বলেন, গবেষণায় যেসব ফলাফল পাওয়া গেছে, তা যথার্থভাবে কাজে লাগাতে হবে। সেই সঙ্গে গবেষণা প্রক্রিয়া চালু রাখতে হবে।
কর্মশালায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পটি সম্পর্কে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেডি, ডিএইচআই-ডেলটারেসের টিম লিটার রনজিত গালাপাত্তি। তিনি বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত প্রতিহত করার প্রচেষ্টায় গবেষণাগুলো পরিচালিত হয়েছে। এসব কাজ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মূল্যবান সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন শাখা) মিজানুর রহমান, পাউবোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ওয়েস্টার্ন রিজিওন) জ্যোতিপ্রসাদ ঘোষ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাউবোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা, ডিজাইন ও গবেষণা) জিয়াউদ্দীন বেগ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পাউবোর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ হাসান ইমাম এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন ঊর্ধ্বতন দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ স্বর্ণা কাজী।