আজম রেজাসহ ৩২৯ বন্দী মুক্তি পাচ্ছেন
খুনের মামলায় ২০ বছর বা তার চেয়ে বেশি সাজা খেটেছেন এমন ৩২৯ জন বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্য কোনো কারণে আটক রাখার প্রয়োজন না থাকলে তাঁদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া হবে। স্কুলশিক্ষিকা ও স্থপতি জয়ন্তী রেজা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আজম রেজাও মুক্তির তালিকায় আছেন।
গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন কারা মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশে এ প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব মো. মনিরুজ্জামান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এঁরা সবাই ২০ বছরের বেশি সাজা খেটেছেন। ধর্ষণ বা নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন এমন কাউকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার জেলাগুলোতে তালিকা পাঠানো হবে। এরপর এসব বন্দীর মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। কারাগারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ২০ বছর সাজা খাটার পর কারাবিধির ৫৬৯ ধারায় অসুস্থ ও অচল বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার বিধান রয়েছে। আগেও দেওয়া হয়েছে। তবে এখন যেহেতু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি সামনে আসছে, তাই গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত বন্দী মুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হলো।
তালিকায় আরও নাম আছে ফেনীর একরামুল হক চৌধুরী ওরফে রিপন, ঢাকার আফজাল হোসেন, রংপুরের এমদাদুল হক, কেরানীগঞ্জের মো. কাওছার, নারায়ণগঞ্জের মকবুল হোসেন মুকুল, কুমিল্লার আলী হোসেন, বরিশালের জি এম তানভীর হাসান বাবু, মাগুরার মুশফিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাফিয়া বেগম, মোহাম্মদপুরের মোছা. শাহিদা, ভোলার মো. আলাউদ্দীন প্রমুখ।
আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, যাঁরা অসুস্থ কিংবা ভালো ব্যবহার বা ভালো কাজ করেছেন, এমন বন্দীদেরই এ সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। শীর্ষ সন্ত্রাসী বা দুর্ধর্ষ ডাকাতেরা এ সুবিধা পাবেন না। এঁরা প্রত্যেকেই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। এর আগে ২০১০ সালে দীর্ঘ কারাবন্দী বৃদ্ধ, নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ—এই পাঁচটি শ্রেণির এক হাজার বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
কারাগারের একজন কর্মকর্তা জানান, এর আগে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ২ হাজার ৮৮৪ জন সাধারণ বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়।