আ.লীগের ছয় প্রার্থী, দ্বিধা
চাঁদপুরের পাঁচটি আসনে বিএনপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোটে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে চাঁদপুর-৩ ও ৫ ছাড়া সব আসনে দুজন করে প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ কারণে এসব আসনের প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা দ্বিধায় রয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে দুজনকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন বর্তমান সাংসদ মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম হোসেন।
একই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, তাঁর স্ত্রী নাজমুন নাহার ও মালয়েশিয়াপ্রবাসী মোশাররফ হোসেন।
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল। একই আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য জালাল উদ্দিন ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী নুরুল হুদার ছেলে তানভীর হুদাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী বর্তমান সাংসদ দীপু মনি। এ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সাংসদ রাশেদা বেগম দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ফজলুল হক সরকার, গণফোরামের জেলা সভাপতি সেলিম আকবর ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এস এম আলমকেও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংসদ মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান। এখানে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ হান্নান ও কেন্দ্রীয় সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন।
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী সাংসদ রফিকুল ইসলাম। এখানে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মমিনুল হক ও সাবেক সাংসদ এম এ মতিনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট থেকে এলডিপির নেয়ামুল বশিরকেও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এ আসনে।