‘অসুস্থ’ সম্রাটকে আদালতে আনা হয়নি, শুনানি পেছাল

ইসমাইল চৌধুরী ওরফে সম্রাট
ফাইল ছবি

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী ওরফে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি পিছিয়েছে। অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৩ এপ্রিল নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ মোস্তফা।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই মামলায় আজ অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে সম্রাটকে আজ আদালতে হাজির করা হয়নি।

সম্রাট এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে আদালতকে জানানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে জানিয়েছে, সম্রাটের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাঁকে এখন আদালতে হাজির করা ঝুঁকিপূর্ণ।

উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত অভিযোগ গঠনের শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেন।

সম্রাটের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র ২২ মার্চ আমলে নেন আদালত।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।

অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

এ ছাড়া সম্রাটের বিরুদ্ধে ২১৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই টাকা তিনি পাচার করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

উচ্চ আদালতে জমা দেওয়া সিআইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্রাটসহ ১২ ব্যক্তি ও ১টি প্রতিষ্ঠান ৩১০ কোটি ৮০ লাখ ১৪ হাজার ৭৪৮ টাকা বিদেশে পাচার করেছে।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তাঁর সহযোগী যুবলীগের তৎকালীন সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে তাঁদের ঢাকায় আনা হয়।

গ্রেপ্তারের পর সম্রাটকে নিয়ে তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র‍্যাব। সম্রাটের কার্যালয়ে ক্যাঙারুর দুটি চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়ার কথা জানায় র‍্যাব। এ ঘটনায় র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গ্রেপ্তারের সময় মদ্যপ থাকায় সম্রাট ও আরমানকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।