অবহেলা আছে কি না, খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি
পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে সরকারি সংস্থার কোনো অবহেলা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনার উৎস ও কারণ অনুসন্ধানে গঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি এমন কথা জানিয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিটি এ কথা জানায়।
অগ্নিকাণ্ডের উৎস খুঁজে বের করা ও ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য কর্মপন্থা নির্ধারণ করে সরকারকে সুপারিশ দেওয়ার জন্য এই পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে জানতে চান, সরকারি সংস্থা যাদের দায়িত্ব এসব দেখে রাখা এ ঘটনায় তাদের কোনো গাফিলতি আছে কি না? এবং তা আপনারা খতিয়ে দেখবেন কি না? জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনার এই প্রশ্ন আমার টার্মস অব রেফারেন্সে আছে। আমরা পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি যখন কাজ করব তখন বিভিন্ন জনের কাছে যাব, ঘটনার বিষয়ে কী কী বিষয় কাজ করেছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। এ জন্যেই আমাদের এখানে আসা।’
অতীতে এ রকম অনেক ঘটনা ঘটেছে, যার কোনো তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখই দেখেনি? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘আলোর মুখ অবশ্যই দেখবে, এ জন্যই আমরা এখানে এসেছি।’
এ সময় কমিটির অন্য সদস্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার ইবরাহীম খানকে এ ঘটনায় করা মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো সঠিক কারণ নির্ণয় করতে পারিনি। এই মামলার আলোকেই তদন্ত করে আমরা আদালতে প্রতিবেদন জমা দেব। তদন্ত রিপোর্ট আপনাদেরও জানানো হবে।’
আজ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই সেখানে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা রাস্তা পরিষ্কারের কাজ করছেন। পুড়ে যাওয়া জিনিস সরিয়ে ফেলছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা সুরক্ষা সচিবের কাছে জানতে চান, এ ঘটনায় অধিকাংশ মানুষ মারা গেছেন রাস্তায়। সে ক্ষেত্রে এগুলো সরিয়ে ফেলায় আলামত নষ্ট হচ্ছে কি না? জবাবে তিনি বলেন, ‘জিনিস সরিয়ে ফেললেও খুব একটা প্রভাব ফেলবে বলে মনে করি না। আমরা উৎস এবং এর জন্য কে কে দায়ী, সেটা নির্ণয়ের চেষ্টা করব। এবং এটা করতে পারাটাই যথেষ্ট বলে মনে করি।’
কমিটির আরও তিন সদস্যের একজন হলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান। এ ছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পর্যায়ের ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন প্রতিনিধি আছেন।