‘অনৈতিক’ভাবে মধ্যপ্রাচ্যের ফ্লাইটের টিকিটের দাম দ্বিগুণ করা হয়েছে: আটাব

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে টিকিটের দাম কমানোর দাবি জানান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্সি অব বাংলাদেশের (আটাব) নেতারা
ছবি: সংগৃহীত

নভেম্বর পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বিমানের টিকিটের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। এখন তা ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকায় পৌঁছেছে বলে জানায় অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্সি অব বাংলাদেশ (আটাব)। তারা বলছে, বিভিন্ন উড়োজাহাজ সংস্থা থেকে অনৈতিকভাবে টিকিটের দাম দ্বিগুণ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনের পক্ষ থেকে টিকিটের দাম কমানোর দাবি জানায় আটাব। এর আগে একই দাবিতে গত রোববার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি।
আটাব বলছে, আরব আমিরাতের দুবাই বা আবুধাবি পর্যন্ত টিকিট ছিল ৪০ হাজার টাকা, এখন তা ৮৭ হাজার। সৌদি আরবের টিকিট ছিল ৪২ হাজার, এখন ৭৫ হাজার। এ অতিরিক্ত ভাড়া বহন করে যথাসময়ে কর্মস্থলে যাওয়া অভিবাসীদের জন্য প্রায় অসম্ভব ও কষ্টসাধ্য।

লিখিত বক্তব্যে আটাব জানায়, অতিরিক্ত দামের জন্য নতুন কর্মীরা মধ্যপ্রাচ্যে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন। বাড়িঘর ও জমি বিক্রি করে, সুদে টাকা নিয়ে অতিরিক্ত মূল্যে টিকিট কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য থেকে ছুটিতে আসা কর্মীরা দ্রুত কাজে যোগ দিতে নিয়োগকর্তার কাছ থেকে চাপে আছেন।

উড়োজাহাজের টিকিটের দাম কমাতে চারটি প্রস্তাব দিয়েছে আটাব। তারা বলেছে, সরকারি সংস্থা বিমানসহ অন্য উড়োজাহাজ সংস্থার মধ্যপ্রাচ্যে ফ্লাইট বাড়ানো যেতে পারে। এতে যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা বাড়লে টিকিটের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

উড়োজাহাজ সংস্থার চাহিদা অনুসারে স্লট (ফ্লাইট সংখ্যার অনুমতি) বরাদ্দের প্রক্রিয়া দ্রুত করতে পারে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। প্রবাসী কর্মীদের সুবিধার্থে বিশেষ ভাড়া নির্ধারণে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। উড়োজাহাজ সংস্থার টিকিটের অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে একটি রেগুলেটরি বোর্ড গঠন করারও প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

সরকার নিবন্ধিত প্রায় সাড়ে তিন হাজার ট্রাভেল এজেন্সির একটি অলাভজনক সংগঠন আটাব। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আটাবের সভাপতি মনছুর আহামেদ কালাম। এ সময় পাশে ছিলেন আটাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল এইচ ভূঁইয়া।

আটাব জানায়, প্রতিবেশী দেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে উড়োজাহাজের ভাড়া তুলনামূলকভাবে কম। টিকিটের দামের এমন লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি অভিবাসীদের জন্য এক মহাসংকট এবং দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত নেতিবাচক। এতে অভিবাসন ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা।