অনিবন্ধিত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যের অভিযান চলছে

সারা দেশে অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, চিকিৎসাক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য এমন উদ্যোগ চলমান থাকবে।

অনিবন্ধিত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বন্ধে গত শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান শুরু হয়। গতকাল সোমবার ছিল অভিযানের তৃতীয় দিন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত সারা দেশে ১ হাজার ১০০–এর বেশি নিবন্ধনহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, চিকিৎসাক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য নিবন্ধনহীন বা নিবন্ধনকৃত, সরকারি বা বেসরকারি সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ দিনে ৮ বিভাগে মোট ১ হাজার ১৪৯টি বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ২৮৬টি, চট্টগ্রামে ১৯০, রাজশাহীতে ১৩৫, রংপুরে ১৪, ময়মনসিংহে ১২১, বরিশালে ৬৫ ও সিলেট বিভাগে ৩৫টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

অবশ্য গতকাল কোনো কোনো স্থানে লাইসেন্স নবায়ন করেনি, এমন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে শর্ত সাপেক্ষে চালু রাখতে বলা হয়েছে। গতকাল লালমনিরহাট শহরের সদর হাসপাতাল সড়কের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। তবে লাইসেন্স নবায়ন না করায় ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে শহরের ৪টি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গতকাল অনুমোদনহীন ছয়টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ সময় কাগজপত্র নবায়ন না থাকায় তিনটি বেসরকারি হাসপাতালকে আগামী সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে এক সভায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সারা দেশের অনিবন্ধিত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়। দেশে নিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ১০ হাজার ৮৯৩। তবে নিবন্ধনহীন প্রতিষ্ঠানের কোনো পরিসংখ্যান অধিদপ্তরে নেই।

[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা]