দেশে মোট নিবন্ধিত মুঠোফোন সিমের প্রায় ৪২ শতাংশ নিষ্ক্রিয়। আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল মালেক সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ জানান, দেশে মোট নিবন্ধিত সিম ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭০টি। এর মধ্যে সক্রিয় সিমের সংখ্যা ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার।
প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত মুঠোফোন সিমের মধ্যে ১৩ কোটি ৯০ লাখ ২৬ হাজার ৯৭০ নিষ্ক্রিয়, যা মোট নিবন্ধিত সিমের প্রায় ৪২ শতাংশ। সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটকের নিবন্ধিত সিমের ৫৫ শতাংশই নিষ্ক্রিয়।
প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের মোট নিবন্ধিত সিম ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯২৫টি। এর মধ্যে সক্রিয় ৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার। বাংলালিংকের মোট নিবন্ধিত সিম ৯ কোটি ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬২টি। এর মধ্যে সক্রিয় ৪ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজারটি। রবি আজিয়াটার মোট নিবন্ধিত সিম ১০ কোটি ৭৯ লাখ ৬১ হাজার ৮০০টি। সক্রিয় ৫ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার। টেলিকটের নিবন্ধিত সিম ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬১ হাজার ২৮৩টি। সক্রিয় ৬৫ লাখ ৫০ হাজার।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে লাইসেন্সধারী ইন্টারনেট সরবরাহকারীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৫০।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের এক প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহ্মেদ জানান, ২০১৯ সালে বিটিসিএলের গ্রাহক ছিল ৫ লাখ ১৯ হাজার ৯২২ জন। ২০২৪ সালের ১২ জুন সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫০ জন। অর্থাৎ গত ৫ বছরে বিটিসিএলের গ্রাহকসংখ্যা কমেছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭২।