সন্দ্বীপ উপনির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা
‘ওনাদের ভোট গেলেও হয়ে যাবে, কেন্দ্রে না গেলেও হয়ে যাবে’
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মী-সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন মগধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম। গতকাল সোমবার বিকেলে মগধারা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাঈন উদ্দিনের সমর্থনে অনুষ্ঠিত পথসভায় তিনি এ কথা বলেন। এ জন্য আজ মঙ্গলবার তাঁকে আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর এই জরিমানা করেন।
রবিউল আলম বলেছেন, ‘আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ মে) উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন। বিএনপি-জামায়াত-শিবির ভাইদের বলছি, আপনাদের কারও ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই। কারণ আপনাদের প্রার্থী নেই।’
এ সময় উপস্থিত লোকজনের কাছে বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী আছে কি না, জানতে চেয়ে রবিউল আলম বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী যেহেতু নেই, ওনাদের ভোট কেন্দ্রে গেলেও হয়ে যাবে, না গেলেও হয়ে যাবে।’
রবিউল আরও বলেন, ‘বিএনপি ভাইদের উদ্দেশে বলতে চাই, গত ১৪ বছর আপনারা শান্তিতে ঘুমিয়েছেন। আপনাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ঠিকভাবে আছে। চুরি-ডাকাতি-রাহাজানি এখানে নেই। আপনারা আপনাদের মতো ব্যবসা করবেন। আপনাদের মতো শান্তিতে বসবাস করবেন।’
মগধারা ইউনিয়নের এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না, যেটার জন্য ২৫ তারিখের পর আপনাদের অশান্তির আগুনে জ্বলতে হবে। এই এলাকার লোকদের আমরা চিনি। এখনো ভেতরে-ভেতরে অনেকে ফিটিশ-ফাটিশ (বাড়াবাড়ি) করছে। আমি সাবধান করে দিতে চাই। আমরা সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা ও মাঈন উদ্দিন মিশনের নেতৃত্বে এলাকাকে শান্তিতে রেখেছি। বলতে চাই, আপনারা শান্তিতে থাকবেন। অশান্তিতে থাকার চেষ্টা কেউ করবেন না। যদি করেন, তাহলে সমস্যা হবে।’
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল ইসলামের উদ্দেশে রবিউল আলম বলেন, ‘নির্বাচন এলে বহু লোক বের হয়। কেউ বলেন, “আমি মুক্তিযোদ্ধা।” আপনি যদি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকেন, তাহলে তো আপনার মার্কা নৌকা হতো। যেহেতু আপনার মার্কা ভিন্ন। তাই আপনার সঙ্গে আমরা নেই।’
ওই সভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাঈন উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী বৃহস্পতিবার সন্দ্বীপ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চারজন প্রার্থী রয়েছেন।