এত টাকা লাগলে সাধারণ মানুষ কীভাবে হজে যাবে: হাইকোর্ট
হাইকোর্ট বলেছেন, ‘এত টাকা লাগলে সাধারণ মানুষ কীভাবে হজে যাবে? বিশ্বের অন্যান্য দেশে হজের জন্য সরকার আলাদা বরাদ্দ রাখে, আমাদের এটি নেই কেন?’
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের খরচ কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে করা এক রিটের শুনানিতে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন প্রশ্ন রাখেন। আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক স্মারকে হজ প্যাকেজ (২০২৩ সাল) ঘোষণা করে। হজ প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর এই খরচ কমিয়ে চার লাখ টাকার মধ্যে পুনর্নির্ধারণ করতে অনুরোধ জানিয়ে ৬ মার্চ ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আশরাফ-উজ-জামান। নোটিশে ওই স্মারক সংশোধন বা পরিবর্তন করে চার লাখ টাকার মধ্যে হজ প্যাকেজ (২০২৩ সাল) সাত দিনের মধ্যে পুনর্নির্ধারণ করতে অনুরোধ জানানো হয়। এতে ব্যর্থ হলো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। এতে ফল না পেয়ে ১২ মার্চ রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে আশরাফ-উজ-জামান নিজেই শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আওলাদ হোসেন।
পরে মো. আওলাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘হজের প্যাকেজ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে নির্ধারণ করা হয়, যা রিটে উল্লেখ করা হয়নি। এটি সরকারের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার বিষয়। বিষয়গুলো রিটে উল্লেখ না থাকায় মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানতে হবে, যে কারণে সময় চাওয়া হয়। আদালতও বলেছেন এটি সরকারের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত। মন্ত্রণালয় থেকে ওই সব তথ্য সংগ্রহ করতে মৌলিকভাবে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে আদালত আগামীকাল পরবর্তী শুনানির জন্য রেখেছেন।’
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ উপলক্ষে গত মাসে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় হজ চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ করতে যেতে পারবেন। তাঁদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ ব্যক্তি পবিত্র হজে যেতে পারবেন।