স্ত্রী‌কে হত‌্যার পর মরদেহ গুমের দায়ে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশির যাবজ্জীবন

সোমা বেগম ও আমিনান রহমান‌ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ড‌নের পপলারে বাংলা‌দেশি স্ত্রী সোমা বেগমকে হত্যা ও মরদেহ গুমের দায়ে স্বামী আমিনান রহমান‌কে গতকাল মঙ্গলবার য‌াবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল দুই সন্তানের সামনে ও স্ত্রীর অনলাইনের বন্ধুকে ভিডিও কলে রেখে হত্যা করেন স্বামী আমিনান রহমান। হত্যার পর গুম করার উদ্দেশ্যে মর‌দেহ স্যুটকেসে ভরে টেমস নদীতে ফেলে দেন।

হত্যার আগে স্ত্রী সোমা বেগমকে কীভাবে আমিনান রহমান প্রতারণা, নিয়ন্ত্রণ ও লাঞ্ছিত করেছেন, সে‌টি উঠে আসে লন্ড‌নের ওল্ড বেইলি কো‌র্টের শুনানিতে। সোমা বেগমের অনলাইনের বন্ধু সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে সোমার মৃত্যুর দৃশ‌্য দেখেছিলেন ব‌লে আদাল‌তে উল্লেখ করা হয়। পরে যুক্তরাজ্য পুলিশ এ ঘটনায় সাক্ষ্য দিতে আরব আমিরাত থেকে সেই বন্ধুকে লন্ডনে নিয়ে আসে।

সোমার মর‌দেহ স্যুট‌কে‌সে ঢোকানোর দৃশ‌্য এক‌টি সি‌সি‌টি‌ভি ক‌্যা‌মেরায় ধরা পড়ে। সেই সূত্র ধ‌রে ঘটনার বিস্তা‌রিত জান‌তে পা‌রে পু‌লিশ।

সোমা বেগম দুই বছ‌র বয়সী এক ছে‌লে ও দুই মা‌স বয়সী এক কন‌্যার জননী। সন্তানেরা বর্তমা‌নে ব্রিটিশ সরকা‌রের স্যোশাল সা‌র্ভিসের (সামাজিক নিরাপত্তা সেল) হেফাজ‌তে র‌য়ে‌ছে। সোমা বেগম সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপ‌জেলার মামুনপুর গ্রা‌মের মৃত ঠাকুর মিয়ার মেয়ে।

২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল স্বামী আমিনান রহমান (৪৫) তাদের পূর্ব লন্ডনের ডকল্যান্ডের বাসায় স্ত্রী সোমা বেগমকে (২৪) হত্যা করেন। হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে মরদেহ বড় স্যুটকেসে ভরে টেমস নদীতে ফেলে দেন। ওই দিনই আমিনান স্ত্রী সোমা বেগম নিখোঁজ হয়েছেন জানিয়ে পুলিশকে জানান। পুলিশ নিখোঁজের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারে, আমিনান তাঁর স্ত্রী সোমা বেগমকে হত্যা করে মরদেহ গুম করেছেন। হত্যাকাণ্ডের ১০ দিন পর পুলিশ টেমস নদী থেকে স্যুটকেসে থাকা মরদেহ উদ্ধার করে।