চট্টগ্রাম নগর যুবদল সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৯ নেতা–কর্মী কারাগারে
পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা, অগ্নিসংযোগ ও দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগের তিন মামলায় নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাহেদসহ ৩৯ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভুঞা এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নগরের কোতোয়ালি থানার তিন মামলায় আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁরা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৩৯ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনা করে ৩৭ জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ১৬ জানুয়ারি নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে বিএনপির অন্তত ২৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন পুলিশের পাঁচ সদস্য। সংঘর্ষকালে ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজীর দেউড়ি এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
হামলার অভিযোগে বিএনপির ১৬ জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম শহরের নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করেছিল চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।
সংঘর্ষের পরদিন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব আবুল হাশেমসহ প্রায় ৬০০ জনকে আসামি করে পৃথক চারটি মামলা হয় কোতোয়ালি থানায়।