চাঁদাবাজির দুই মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল আবার চার দিনের রিমান্ডে

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামফাইল ছবি

চাঁদাবাজির পৃথক দুটি মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে দুই দিন করে মোট চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এ আদেশ দেন।

পুলিশ ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলামকে আজ সকাল ৯টার পর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাঁকে কামরাঙ্গীরচর থানায় করা চাঁদাবাজির দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানায় পুলিশ। একই সঙ্গে মামলা দুটিতে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।

একটি মামলায় রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে বলা হয়, সংসদ সদস্য থাকার সময় কামরুল ইসলামের নির্দেশে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনসহ অন্যরা আলী কেব্‌লসহ সেখানকার বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করতেন। এ মামলার অন্য আসামিদের নাম-ঠিকানা জানতে আসামি কামরুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

অপর মামলায় রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, এক কোটি টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় কামরুল ইসলামের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনায় যুক্ত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে কামরুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

এদিকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনের বিরোধিতা করে কামরুল ইসলামের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, হয়রানির উদ্দেশ্যে কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজির কোনো ঘটনার সঙ্গে কামরুল জড়িত নন।

উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত প্রতিটি মামলায় কামরুল ইসলামের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে পল্টন থানার একটি হত্যা মামলায় গত ১৮ ডিসেম্বর কামরুল ইসলামের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরও এক মাস আগে ১৯ নভেম্বর নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় তাঁর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।

গত ১৮ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন কামরুল ইসলাম।