স্নাতকে চতুর্থ ধাপের ভর্তি স্থগিত

সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’-এর প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে ১ জুলাই থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। দুই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৌশল গুচ্ছে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ের চতুর্থ ধাপের ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির জরুরি সভায় স্থগিতের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভর্তির কার্যক্রমের তারিখ পরবর্তী সময়ে খুদে বার্তা ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রকৌশল গুচ্ছের এই তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)।

ভর্তি কমিটি সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ ধাপের ভর্তির কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার কথা ছিল ৩ ও ৪ জুলাই। কিন্তু সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে তারিখ পরিবর্তন করা হয়। নতুন সূচি অনুযায়ী ১৪ ও ১৫ জুলাই ভর্তির কার্যক্রম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের কোনো সুরাহা হয়নি। পাশাপাশি কোটা সংস্কার আন্দোলনে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ কারণে আপাতত ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানতে চাইলে তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভাপতি চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়টি মাথায় রেখে জরুরি সভার আয়োজন করা হয়। আপাতত ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত এসেছে। কবে ভর্তির কার্যক্রম শুরু হবে, তা ঠিক করা হয়নি। তবে ভর্তির কার্যক্রম শেষ না হলে নবীনবরণ অনুষ্ঠানও পিছিয়ে নেওয়া হবে। ৩১ জুলাই নবীনবরণ হওয়ার কথা রয়েছে।

জানা গেছে, গত ৩ মার্চ প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ৯৩১টি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ১ হাজার ৬৫টি ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ১ হাজার ২৩৫টি আসনে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছেন। মেধাতালিকা অনুযায়ী তৃতীয় ধাপে ভর্তির পরও আসন পূরণ হয়নি। এ কারণে চতুর্থ ধাপে ভর্তির জন্য মেধাক্রমের ৫ হাজার ৮০১ থেকে ৬ হাজার ৫০০ পর্যন্ত মোট ৭০০ শিক্ষার্থীকে ডাকা হয়।

ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, তৃতীয় ধাপে ভর্তির পর মোট ৩ হাজার ১১০ আসনের বিপরীতে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৪৫ শিক্ষার্থী। এখনো ফাঁকা রয়েছে ৬৫ আসন। এর মধ্যে চুয়েটের নগর ও পরিকল্পনা অঞ্চল বিভাগে ৮টি, রুয়েটের নগর ও পরিকল্পনা অঞ্চল বিভাগে ৩৪টি, কুয়েটের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১১টি ও নগর ও পরিকল্পনা অঞ্চল বিভাগে ১২টি আসন ফাঁকা রয়েছে।