সেঁজুতি সাহার নাম ও ছবি দিয়ে ভুয়া বিজ্ঞাপন ফেসবুকে
দেশের অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহার ছবি ও ভুয়া সাক্ষাৎকার দিয়ে ফেসবুকে একটি ওষুধের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সেখানে ভুয়া একটি লিংক তৈরি করে প্রথম আলোর ১০ বছর আগের একটি প্রতিবেদন ব্যবহার করা হচ্ছে। সেঁজুতি সাহা এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
১ জুলাই মোহাম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরিটি করেছেন সেঁজুতি সাহা। সেখানে তিনি লিখেছেন, গত ২৮ জুন তিনি নিজের মোবাইলে দেখতে পান, তাঁর নাম, পদবি ও ছবি ব্যবহার করে সাংবাদিক মুন্নী সাহার সঙ্গে একটি ভুয়া সাক্ষাৎকার প্রচারিত হচ্ছে, যা অপটিম্যাক্স নামের একটি ওষুধের প্রচারণা।
সেঁজুতি সাহা আরও উল্লেখ করেন, এ ধরনের প্রচারণা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে এবং তাঁর ছবি ও ভুয়া সাক্ষাৎকার দেখে মানুষ বিশ্বাস করে উল্লেখিত ওয়েবসাইট থেকে ওষুধ কিনছে। এতে তাদের শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের কোনো প্রচারণার সঙ্গে সেঁজুতি সাহা যুক্ত নন বলেও জানান। পাশাপাশি এ ঘটনায় তিনি সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছেন এবং নিজের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সেঁজুতি সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই পণ্য সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই। বানিয়ে বানিয়ে একটি সাক্ষাৎকার তৈরি করা হয়েছে। পদবিও ভুল। আমি ডাক্তার না। চোখ নিয়েও কখনো কাজ করিনি। এসবের প্রচারণায় আমার অনুমতিও নেওয়া হয়নি। এখানে আমার পরিচয়, মুন্নী সাহার পরিচয় এবং প্রথম আলোর পরিচয় ব্যবহার করা হয়েছে। মানুষ এই নাম–পরিচয় দেখে সহজেই বিশ্বাস করে ফেলতে পারে এবং তাদের ক্ষতি হতে পারে। এটা ভয়ংকর।’
উল্লেখ্য, সেঁজুতি সাহার ভুয়া ছবি ও সাক্ষাৎকার যে ফেসবুক পেজ থেকে প্রচারিত হচ্ছে, সেটির ভাষা ভিনদেশি এবং ঠিকানা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার। তবে পেজটিতে গেলে সেখানে বিজ্ঞাপনটি দেখা যায় না। ভুয়া সাক্ষাৎকারটির লিংকে প্রথম আলোর লোগো এবং ইন্টারফেস ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া সেঁজুতি সাহার ছবির সঙ্গে ‘https://vision-bd.tantanika.com/’নামে একটি লিংক তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে। এই লিংকে ক্লিক করলে প্রথম আলোর ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বরে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে নিয়ে যায়।
প্রথম আলোর বক্তব্য: সেঁজুতি সাহার নামে প্রচারিত এই ভুয়া বিজ্ঞাপনে প্রথম আলোকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তার সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পর্কই নেই। এখানে একটি ভুয়া লিংক ব্যবহার করা হয়েছে। সেই লিংকে অসৎভাবে প্রথম আলোর লোগোও ব্যবহার করা হয়েছে।
আমরা দেখছি, প্রথম আলোর জনপ্রিয়তা এবং এর প্রতি পাঠকের আস্থাকে পুঁজি করে কেউ কেউ তাঁদের অসৎ উদ্দেশ্যে এর নাম ব্যবহার করছেন এবং পাঠকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এ ধরনের সন্দেহজনক সংবাদ পেলে তা যাচাই করতে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে এসে তা দেখার জন্য আমরা পাঠকদের অনুরোধ করছি।