মহেশখালীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত

গুলিতে নিহত মহেশখালীর মনির আহমদছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে চিংড়িঘের নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মনির আহমদ (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের ষাইটমারার পূর্ব পাশে পাঠোয়ারছড়ি চিংড়িঘেরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মনির আহমদ ষাইটমারা এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে। খবর পেয়ে আজ রোববার সকালে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

প্রায় ৫০ একরের চিংড়িঘেরটি মনির আহমদসহ তাঁর ২০ জন অংশীদার মিলে পরিচালনা করে আসছিলেন।

নিহত ব্যক্তির পারিবারিক সূত্র জানায়, ওই চিংড়িঘেরের ইজারা নিয়ে শাপলাপুর ইউনিয়নের ষাইটমারার এলাকার বাসিন্দা মনির আহমদের সঙ্গে তাঁর পার্শ্ববর্তী কালারমারছড়া ইউনিয়নের ঝাপুয়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ফিরোজের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর মধ্যে ঘেরটি দখলে নিতে কয়েকবার হামলার ঘটনা ঘটে। এই বিরোধের জেরে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সন্ত্রাসীরা ওই চিংড়িঘেরে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মনির আহমদ গুরুতর আহত হন। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত মনির আহমদের মেয়ে আয়েশা আক্তারের দাবি, তাঁর বাবাকে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কাইছার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি। সকালে মনির আহমদের লাশটি চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের কপালে ও পিঠে দুটি গুলির আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’

ওসি মোহাম্মদ কাইছার হামিদ আরও বলেন, ‘ওই চিংড়িঘের নিয়ে মনির আহমদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েকজন ব্যক্তির পাশাপাশি অংশীদারদের মধ্যেও বিরোধ চলছে বলে শুনেছি। এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্‌ঘাটনের পাশাপাশি জড়িত ব্যক্তিদের ধরার জন্য পুলিশ নানাভাবে চেষ্টা করছে।’