সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে: উপদেষ্টা হাসান আরিফ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফফাইল ছবি

সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। তিনি বলেন, পাশাপাশি আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে আলোচনা যাই– হোক, মতামত নেওয়া হবে সমন্বয়কদের। তাঁদের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই সংবিধান সংশোধন, নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আজ রোববার সচিবালয়ে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগবিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে হাসান আরিফ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তি হচ্ছে আজ। এই এক মাসে কী কী বিষয় সংস্কার নিয়ে কাজ করেছেন, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে হাসান আরিফ বলেন, সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে মাথায় রাখতে হবে, সংবিধান তৈরি করতে এত সময় লেগেছে, ৫২ বছর ধরে যেটা বিদ্যমান আছে, সেটা তো মুখের কথায় সংশোধন হবে না। অনেক চিন্তাভাবনার বিষয়।

হাসান আরিফ বলেন, ‘সংবিধানের ৫০টি জায়গায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এক থেকে চতুর্থ সংশোধনী, এরপর পঞ্চদশ সংশোধনীর কথা বলতে চাই। চতুর্থ সংশোধনীতে এসে আটকে যাব। যার মাধ্যমে বাকশাল গঠিত হয়েছিল। একদলে রূপ নিয়েছিল। সেটা কি সংবিধানসম্মত ছিল? ধারাবাহিকভাবে মানুষকে জিম্মি করে রাখার প্রক্রিয়া ছিল।’

সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে ছাত্র-জনতার মতামত নেওয়া হবে বলে জানান হাসান আরিফ। তিনি বলেন, দাবিটি আসতে হবে ছাত্র-জনতার কাছ থেকে। তারা কী চায়? তারা কি নতুন কিছু চায়, নাকি পুরোনো সংবিধানকে সংস্কার চায়? এটা তাঁদের কাছ থেকে আসতে হবে। সমন্বয়কারীরা এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন।

এ সময় এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘আপনি একজন উপদেষ্টা। আপনার মতামত কী?’ তখন হাসান আরিফ বলেন, ‘এটা জানতে চাইলে আমার চেম্বারে আসবেন।’

আগামী নির্বাচন কবে হবে, এ বিষয়ে আরেক সাংবাদিক জানতে চান। নির্বাচনব্যবস্থার বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়। তখন হাসান আরিফ বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কালকেই সব হয়ে যাবে, তা নয়। ছাত্র-জনতার বক্তব্য কী, তা দেখতে হবে। আপনারা সমন্বয়কদের কাছে যান। এসব প্রশ্নের উত্তর আসবে তাঁদের কাছ থেকে। তাঁদের প্রত্যাশা আমরা বাস্তবায়ন করব। আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছায় কিছু যায় আসে না। আমিও চাই, আগামী নির্বাচন হোক সুষ্ঠু ও অবাধ।’

হাসান আরিফ বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনা হলো। কিন্তু সেটা আবার বাতিল হয়ে গেল। ওটা তো ভালো পদ্ধতি ছিল। সেটাকে কীভাবে পুনরায় মানুষের সামনে আনা যায়, তা বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সমন্বয়কদের মতামত কী, দেখতে হবে।’

সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার পর সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে কি না—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে হাসান আরিফ বলেন, সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই বলে মত দেন তিনি।