আবার ৩ দিনের রিমান্ডে রাশেদ খান মেনন

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননফাইল ছবি

ছয় বছর আগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের আবার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

এর আগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় রাশেদ খান মেননকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানির একপর্যায়ে রাশেদ খান মেনন আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমার বয়স হয়েছে। ৮০-এর বেশি বয়স আমার। আমাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করা হোক।’ উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত রাশেদ খান মেননকে আবার তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নির্বাচনী প্রচারে হামলা চালানো হয়। এতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া ইমাম হোসেনসহ অনেকে গুরুতর জখম হন। এ ঘটনায় গত ২৭ আগস্ট শাহবাগ থানায় মামলা রেকর্ড হয়। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননকে হুকুমের আসামি করা হয়।

গত ২২ আগস্ট গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এর পরদিন নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় তাঁর প্রথম দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৭ আগস্ট মেননের ছয় দিনের রিমান্ড হয়। সর্বমোট ১১ দিনের রিমান্ডে ছিলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টি। আওয়ামী লীগ আমলে রাশেদ খান মেনন প্রথমে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এবং পরে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে আওয়ামী লীগের সর্বশেষ মেয়াদের সরকারে তিনি মন্ত্রিত্ব পাননি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনায় সম্প্রতি কয়েকটি মামলায় রাশেদ খান মেননকে আসামি করা হয়েছে।