গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন। এ রায় স্থগিত চেয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের করা আবেদনটি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ১৭ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেছেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম আজ রোববার এ আদেশ দেন।
ওই মামলায় অভিযোগ গঠনের গত ৬ জুনের আদেশ বাতিল চেয়ে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন হাইকোর্টে আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৩ জুলাই হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। শুনানি নিয়ে ৩ আগস্ট আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়ে হাইকোর্টের অপর একটি দ্বৈত বেঞ্চ দুই সপ্তাহের মধ্যে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। শুনানি শেষে ৮ আগস্ট হাইকোর্ট আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন।
হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে ১০ আগস্ট আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন। অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। চারজনের করা আবেদনটি আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
পরে আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে ড. ইউনূসসহ চারজন আবেদনটি করেন। চেম্বার আদালত আবেদনটি ১৭ আগস্ট আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন।
উল্লেখ্য, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের এক শ্রম পরিদর্শক। মামলায় ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক।