গাইবান্ধার মতো নির্বাচন চায় না ইসি: রাশেদা সুলতানা

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা
ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের মতো নির্বাচন চায় না। এ বিষয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা এসব কথা বলেন। তিনি জানান, গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোটে অনিয়ম নিয়ে দ্বিতীয় প্রতিবেদনটি ইসি হাতে পেয়েছে। তদন্ত দুটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণের মাঝপথে নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি। ভোট চলাকালে সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে ৫১টি ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম দেখতে পেয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে অনিয়মের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ৫১টি ভোটকেন্দ্রের ঘটনা তদন্ত করে গত ২৭ অক্টোবর ইসিকে প্রতিবেদন দেয় তদন্ত কমিটি। পরে গাইবান্ধা-৫ আসনের বাকি ৯৪টি ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম ছিল কি না, তা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিল ইসি। গতকাল সন্ধ্যায় কমিটি ওই প্রতিবেদন জমা দেয়।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, কমিটি ইসিকে প্রতিবেদন দিয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনাররা এখনো প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করেননি। শিগগির এটি নিয়ে তাঁরা বসবেন। যাঁরা দোষী সাব্যস্ত হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কী ব্যবস্থা বা কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এসব বিষয়ে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়।

গাইবান্ধার ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে রাশেদা সুলতানা বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনের পর জেলা পরিষদ, পার্বতীপুর পৌরসভা ও ফরিদপুরে উপনির্বাচন ভালো হয়েছে। মাঠ প্রশাসন ইসিকে সহযোগিতা করবে না—এ ধরনের কোনো বিষয় মনে হচ্ছে না। নির্বাচন ধারাবাহিকভাবে চলছে, মাঠ প্রশাসন ভালোই সাড়া দিচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচন কমিশন কখনোই গাইবান্ধার মতো নির্বাচন চায় না। এ জন্য প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা প্রয়োজন। নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাটা অসম্ভব।