রন হক-রিক হকসহ ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক ১০ পরিচালকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রন হক সিকদার (বাঁয়ে) ও রিক হক সিকদার
ছবি: সংগৃহীত

কাগুজে বিল তৈরি করে ঋণের নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক দুই পরিচালক রন হক সিকদার, তাঁর ভাই রিক হক সিকদারসহ ২৯ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

উল্লেখ্য, রন হক সিকদার শিল্পগোষ্ঠী সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও রিক হক পরিচালক।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, রন হক ও রিক হক ছাড়াও মামলায় ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, পারভীন হক, মনোয়ারা হক, মো. নায়মুজ্জামান, খলিলুর রহমান, মো. আনোয়ার হোসেন, মাবরুর হোসেন ও জাকারিয়া তাহেরকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমান এক পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, এই ১১ জন ছাড়াও মামলায় সাদ মুসা গ্রুপের মালিক ও সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মোহসিন, ন্যাশনাল ব্যাংকের এসইভিপি ও ব্যবস্থাপক নিজাম আহমেদ, ইসতিয়াক হাসান, ব্যাংকটির এসএভিপি ও অপারেশন ম্যানেজার এ এস এম হেলাল উদ্দিন ও প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আবু বক্করকে আসামি করা হয়েছে।

আসামির তালিকায় আরও রয়েছেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের এসএভিপি মোহাম্মদ মহসিন চৌধুরী, এভিপি মো. আখতার হোসেন, মো. আলমগীর হোসেন, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ নুরুন নবী, এসএভিপি হাসিনা সুলতানা, প্রিন্সিপাল অফিসার শেখ ফরিদ আহমেদ, ভিপি মোহাম্মদ আবু রাশেদ, ইভিপি অরুন কুমার, এসইভিপি ইফতেখার হোসেন, ডিএমডি এ এস এম বুলবুল, এএমডি মো. বদিউল আলম, চৌধুরী মোশতাক আহমেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এফ এম শরীফুল ইসলাম।

আরও পড়ুন

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই টাকা আত্মসাত করেছেন। চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর আদালত সাদ মুসা গ্রুপের মালিক ও সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মোহসিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

এর আগে ১ এপ্রিল বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে রন হক সিকদার, তাঁর ভাই রিক হক সিকদারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা ওই মামলায় রন হক ও রিক হকের বিরুদ্ধে মোট ৭১ কোটি টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়।