পোশাকশিল্পে অবকাঠামোর চেয়ে শ্রমিকের স্বাস্থ্যে গুরুত্ব কম

তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকেরাফাইল ছবি

তৈরি পোশাকশিল্পে ভবন বা অন্যান্য অবকাঠামোর ক্ষেত্রে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়, শ্রমিকের স্বাস্থ্য ততটা গুরুত্ব পায় না। পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের সামাজিক সুযোগ-সুবিধাবিষয়ক একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সভায় পোশাকশিল্পে সামাজিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে করা গবেষণাটির ফল উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস এবং ডেনমার্কের ইউনিভার্সিটি অব ডেনমার্ক যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বেতনকাঠামো, কর্মঘণ্টা—এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে এই নিরীক্ষা করা হয়েছে।
গবেষণায় পোশাক কারখানার ৪০ জনের বেশি ব্যবস্থাপকের কাছ থেকে সামাজিক নিরীক্ষার বিষয়ে জানা হয়। ৯টি কারখানার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার পৃথক সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। পোশাক কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি গবেষকেরা নিরাপত্তাবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিবেদন সংগ্রহ করেন এবং সেসব পর্যালোচনা করেন। এ ছাড়া ৭টি কারখানা থেকে মোট ৩১ জন পোশাককর্মীর মতামত নেওয়া হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে ঘাটতি আছে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা, যন্ত্রপাতি, নিডল গার্ড ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে সুরক্ষার পাশাপাশি মজুরি ও কর্মঘণ্টা নিয়ে পোশাককর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ আছে। শ্রমিকেরা নিয়মিতই ঘাড়, পিঠ, পায়ে ব্যথাসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হন। অধিকাংশ শ্রমিকই এই সমস্যাগুলোর সমাধানকে কারখানা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব বলে মনে না করে নিজেরা ওষুধ কিনে খেয়ে সমাধানের চেষ্টা করেন। এ ক্ষেত্রে চাকরি ছেড়ে দেওয়াকেই তাঁরা এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ বলে মনে করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের উপাচার্য ফরিদ আলম, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিয়ান ব্রিক্স মুলারসহ পোশাকশিল্পের একাধিক সংগঠনের কর্তাব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।