পবিত্র রমজান মাসে ঢাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে পেপসিকো
রাজধানীর সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে পেপসিকো বাংলাদেশ। জীবন সন্ধানী সমাজ কল্যাণ সংস্থার (জেএসএসকেএস) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ঢাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের চিহ্নিত করে পবিত্র রমজান মাসে এ খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার সেগুনবাগিচা-শাহবাগ, তেজগাঁও, বাসাবো ও আগারগাঁওয়ের বিভিন্ন বস্তি এবং যাত্রাবাড়ীর আশপাশের এলাকার প্রান্তিক মানুষ, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
পেপসিকোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তাদের অন্যতম দুই ব্র্যান্ড সেভেন আপ ও কুরকুরের সহযোগিতায় বাংলাদেশে ‘ফিলিং হার্টস’ কর্মসূচি চালু করে করেছে পেপসিকো। উদ্যোগটি পেপসিকোর পেপ প্লাস (পেপসিকো পজিটিভ) ও ‘ফুড ফর গুড’ প্ল্যাটফর্মের বর্ধিত প্রয়াস। খাদ্যনিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং পুষ্টিকর খাবার পাওয়ার সুবিধা নিশ্চিত করতে উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসকে আরও অর্থবহ করতে যেসব মানুষের প্রয়োজন, তাদের খাবার ও সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
পেপসিকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার (বেভারেজেস) মুনিশ ধাওয়ান বলেন, ‘সম্মিলিত পদক্ষেপেই আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন—এই বিশ্বাস ধারণ করে পেপ প্লাস (পেপসিকো পজিটিভ) গড়ে তোলা হয়েছে। #ফিলিংসহার্টস কর্মসূচির আওতায় প্রয়োজনের সময় আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াই, সবার মধ্যে খুশি ছড়িয়ে দিই। এ ছাড়া এই উদ্যোগগুলো ঐক্য বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করে। আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে ঢাকাজুড়ে আমরা খাবার বিতরণের জন্য কাজ করেছি।’
পেপসিকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার (ফুডস) প্রণব মেহতা বলেছেন, ‘#ফিলিংসহার্টস কর্মসূচির মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে আমরা দরিদ্র মানুষদের মধ্যে আশা ছড়িয়ে দিয়েছি। এই উদ্যোগ পবিত্র রমজান মাসের চেতনাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।’
এ কর্মসূচি চালু প্রসঙ্গে পেপসিকোর বাংলাদেশ অঞ্চলের সহযোগী পরিচালক অনুজ গোয়েল বলেন, ‘পেপসিকোতে আমরা যা কিছু করি, তার মূলে রয়েছে মানুষের ক্ষমতায়ন। বাংলাদেশে #ফিলিংসহার্টস কর্মসূচি চালুর মাধ্যমে যাদের প্রয়োজন, তাদের জীবনে একটি বাস্তব পরিবর্তন আনতে জেএসএসকেএসের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত।’
জেএসএসকেএসের নির্বাহী পরিচালক জাহানারা আক্তার বলেন, ‘পেপসিকোর #ফিলিংসহার্টস কর্মসূচির অংশীদার হতে পেরে আমরা সম্মানিত। পবিত্র রমজান মাসে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করার সুযোগ পাওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ।’
পেপসিকোর ‘ফুড ফর গুড’ প্ল্যাটফর্মটি ২০০৯ সালে চালু হয়। এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৪ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষকে ২৭ কোটির বেশি বেলার খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ২৮টি দেশের ৬০টির বেশি অলাভজনক সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।