হাটহাজারী থানার সাবেক ওসিসহ আসামিদের শাস্তির দাবি হেফাজতের

হেফাজতের সংবাদ সম্মেলন

হাটহাজারীতে হেফাজতে ইসলামের কর্মী চার মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে গুলি করে খুনের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক ওসি রফিকুল ইসলামসহ জড়িত সব আসামির শাস্তি দাবি করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে হাটহাজারীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

উল্লেখ্য, হাটহাজারী থানার তৎকালীন ওসি রফিকুল ইসলামকে গত শুক্রবার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গুলিতে হেফাজতের কর্মী রফিকুল ইসলাম নিহতের মামলায় আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২৩ আগস্ট নিহত রফিকুল ইসলামের বাবা আবদুল জব্বার বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের সমাজকল্যাণ–বিষয়ক সম্পাদক আহসান উল্লাহ বলেন, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে ঘিরে হেফাজতে ইসলামের কোনো কর্মসূচি ছিল না। ঢাকার বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে হাটহাজারীতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন মুসল্লিরা। মিছিলটি যাওয়ার সময় হাটহাজারী থানার তৎকালীন ওসি রফিকুল ইসলামের নির্দেশে গুলি করা হয়। এতে চার মাদ্রাসাশিক্ষার্থী মারা যান। ঘটনার পর মামলা না করার সিদ্ধান্ত হলেও পুলিশ হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা করে। পরে তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।

হেফাজত নেতা আহসান উল্লাহ আরও বলেন, নিরীহ আলেম-ওলামা, হেফাজত নেতা-কর্মীদের জঙ্গি তকমা লাগাতে ভারতীয় আগ্রাসী শক্তি ও আওয়ামী অপশক্তির প্রেসক্রিপশনে ওসি রফিকসহ তৎকালীন প্রশাসন এই তাণ্ডবের জন্য দায়ী। রিমান্ডে ওসি রফিকের কাছ থেকে আসল তথ্য বের করে আনা না হলে হেফাজতের পক্ষ থেকে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, অর্থ সম্পাদক মুফতী মুহাম্মদ আলী কাসেমী, সহদপ্তর সম্পাদক মাওলানা নিজাম সাইয়্যিদ, হেফাজত হাটহাজারী উপজেলা সম্পাদক মাওলানা এমরান সিকদার, মাওলানা শফিউল আলম, মাওলানা রিজওয়ান আরমান, মাওলানা আবুল হাশেম, মাওলানা আনিস, মাওলানা আসাদ উল্লাহ প্রমুখ।