থানা পর্যায়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন শুরু, প্রথম কমিটি যাত্রাবাড়ীতে
থানা পর্যায়ে কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তৃত করার কাজ শুরু করল জাতীয় নাগরিক কমিটি। শুক্রবার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা কমিটি ঘোষণা করেছে তারা। শিগগিরই থানা ও জেলা পর্যায়ে আরও কয়েকটি কমিটি গঠন করা হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ঢাকা রাইজিং’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণ–অভ্যুত্থানের লাইটহাউস (বাতিঘর) যাত্রাবাড়ী থানা প্রতিনিধি কমিটি ঘোষণা করা হলো। এ কমিটি ৬১ সদস্যের। জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন নতুন এ কমিটি অনুমোদন করেছেন।
এর আগে ২ নভেম্বর জাতীয় নাগরিক কমিটি ‘থানা পর্যায়ে কমিটি গঠনের নির্দেশনা’ বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, সব কমিটিতে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ নারী প্রতিনিধি থাকবেন। কমিটির প্রতিনিধিদের মধ্যে থাকবেন শহীদ পরিবারের সদস্য ও অভ্যুত্থানে আহত হওয়া ব্যক্তিরা (৫ শতাংশ), সংখ্যালঘু প্রতিনিধি থাকবেন ৫ শতাংশ। কৃষক-শ্রমিক প্রতিনিধি থাকবেন ৫ শতাংশ। এ ছাড়া এলাকাভিত্তিক সব জাতিসত্তার প্রতিনিধিত্ব থাকবে কমিটিতে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন প্রথম আলোকে বলেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যে থানা পর্যায়ে আরও বেশ কিছু কমিটি গঠন করা হবে। থানা পর্যায়ের সব কমিটি ‘প্রতিনিধি কমিটি’ হিসেবে পরিচিতি পাবে। প্রতিনিধি কমিটির সবাই ‘থানা প্রতিনিধি’ নামে পরিচিতি পাবেন। প্রতিটি প্রতিনিধি কমিটি গঠনের ৬০ দিনের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন যে গণ-অভ্যুত্থানে হয়, তার নেতৃত্বে ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। অন্যদিকে গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে গত ১৩ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এই কমিটি তারুণ্যনির্ভর নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে কমিটি গঠন শুরু করেছে তারা।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও জেলা পর্যায়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন শুরু করেছে। ২ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলায় ১১১ সদস্যের কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে তারা এ কার্যক্রম শুরু করে। সর্বশেষ ৩ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১০১ সদস্যের কমিটি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।