পানছড়িতে চার তরুণ নেতার হত্যাকাণ্ড ‘পুরোপুরি রাজনৈতিক’: গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে চার তরুণ নেতার হত্যাকাণ্ডকে ‘পুরোপুরি রাজনৈতিক’ বলে অভিযোগ করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। তাদের অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ড বিরোধী মতের রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিদের স্তব্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। গত ১১ ডিসেম্বর রাতে খাগড়াছড়ির পানছড়ির লোগাঙ ইউনিয়নে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা বিপুল চাকমা ও লিটন চাকমা, পিসিপি নেতা সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফ নেতা রুহিন বিকাশ ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ছাত্র জোট এই সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী। এতে বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে বিপুল চাকমাসহ চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি পুরোপুরি রাজনৈতিক এবং এটি বিরোধী মতের রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিদের স্তব্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। চার তরুণ নেতার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার এত দিন পরও প্রশাসন কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিপুল চাকমাসহ চার নেতার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত; এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনি-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া ও সন্ত্রাসীদের মদদদাতাদের শাস্তি দেওয়াসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও ছাত্র ফেডারেশনের (জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল) সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায়। আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ হায়দার প্রমুখ।