পররাষ্ট্রসচিব মোমেনের সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠক

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। ৩০ নভেম্বরছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার কিছু আগে শুরু হয়ে তাঁদের মধ্যে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আলোচনা হয়।

জানা গেছে, বৈঠকে ঢাকায় অবস্থানরত ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদ উল আলম উপস্থিত ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে শ্রম ইস্যুতে তাদের নীতি জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে। ওই নীতি ঘোষণার দিনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের কর্মীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা নেত্রী কল্পনা আক্তারের জেল-জুলুমের প্রসঙ্গ টেনেছেন।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ওই স্মারকের আওতায় বাংলাদেশকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হতে পারে, এমন আশঙ্কা করছে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস। তারা এরই মধ্যে সরকারকে এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য আগেই ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে ওয়াশিংটন। সেই নীতি কার্যকরও হচ্ছে।

আরও পড়ুন

পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে পিটার হাসের আজকের বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো তেমন কিছু জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়েই হয়তো এই বৈঠক হয়েছে। সংগত কারণেই সেখানে, রাজনীতি, শ্রমনীতি, নির্বাচন প্রসঙ্গ আসবে।

পূর্বনির্ধারিত ১০ দিনের ছুটি কাটিয়ে গত সোমবার ঢাকায় ফিরেছেন পিটার হাস। এর আগে ১৬ নভেম্বর তিনি শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন। রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের তাঁদের কর্মস্থল থেকে নিজ দেশে বা অন্যত্র ছুটিতে যাওয়া স্বাভাবিক নিয়ম। তবে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সফরটি বেশ আলোচিত হয়।

পিটার হাস ছুটিতে যাওয়ার আগে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু-এর চিঠি পৌঁছে দেন। ওই চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সহিংসতামুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং নিঃশর্ত সংলাপের আহ্বান জানায়।

আরও পড়ুন