পাহাড় কাটার অভিযোগে সিটি করপোরেশনের দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার নগরের আকবরশাহ থানা এলাকায় মামলাটি করা হয়। দুই কাউন্সিলর হলেন ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের নিছার আহমেদ ওরফে মঞ্জু ও ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের মো. জহুরুল আলম ওরফে জসিম।
মামলার বাদী পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের গবেষণা কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন। মামলায় দুই কাউন্সিলর ছাড়াও এজাহারভুক্ত আরও দুই আসামি রয়েছেন। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয়ের আসামি করা হয়েছে আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে। মামলায় মিরপুর মালিক কল্যাণ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (৫৫) ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেনকে (৫৫) যথাক্রমে ১ ও ২ নম্বর আসামি করা হয়। কাউন্সিলর জহুরুল ৩ ও নিছার আহমেদ ৪ নম্বর আসামি। দুজনই আওয়ামী লীগ নেতা।
আশরাফ উদ্দিন বলেন, আকবরশাহ থানায় মামলাটি হয়েছে। ওই থানা এলাকার জঙ্গল লফিতপুরে পাহাড় কেটে আসামিরা মিরপুর হাউজিং সোসাইটির নামে প্লট বিক্রি করেছেন; গড়ে তুলেছেন আবাসিক এলাকা।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, উল্লিখিত আসামিরা পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশ অমান্য করে পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া মিরপুর মালিক কল্যাণ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির নামে আবাসন প্রকল্প স্থাপন করে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে ৪–৫ একর জমির মধ্যে ২৫০টি প্লট করে বিক্রি করেন।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলমের বিরুদ্ধে আগেও পরিবেশ অধিদপ্তর পাহাড় কাটা, জলাশয় ভরাটের দায়ে একাধিক মামলা ও জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। দুই কাউন্সিলর বর্তমানে পলাতক।